নারায়ণমূর্তিরা বলছেন, ৯০ ঘণ্টা কাজ করুন! অর্থনৈতিক সমীক্ষায় কেন্দ্র বলল, অসুস্থ হয়ে পড়বেন

নারায়ণমূর্তিরা বলছেন, ৯০ ঘণ্টা কাজ করুন! অর্থনৈতিক সমীক্ষায় কেন্দ্র বলল, অসুস্থ হয়ে পড়বেন

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে নানা বিতর্ক বেঁধেছে। বিশেষ করে ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির ৭০ ঘণ্টা কাজের নিদান নেওয়ার পরই বিতর্ক দানা বাঁধে। পরে তা নতুন মাত্রা বাঁধে ‘লারসেন অ্যান্ড টুব্রো’ কোম্পানির চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যমের মন্তব্যে। তিনি ৯০ ঘণ্টার কাজের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার অর্থনৈতিক সমীক্ষাতেও উঠে এল বিষয়টি। সেখানে বলা হল, সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হলে শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগতে হয়।

সতর্ক করে বলা হয়েছে, সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টার বেশি কাজ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষত মানসিক সমস্যা হতে পারে সেই কর্মীদের। পাশাপাশি সমীক্ষায় বলা হয়েছে দিনে ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হলে তা কর্মীদের জন্য পীড়াদায়ক।

বেশ কিছু সমীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরে এদিন প্রাক-বাজেট অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে ব্যয় করা ঘণ্টাগুলিকে উৎপাদনশীলতার পরিমাপ হিসাবে বিবেচনা করা হলেও, আগেই এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, সপ্তাহে ৫৫-৬০ ঘন্টার বেশি কর্মক্ষেত্রে কাটালে স্বাস্থ্যের উপর প্রতিকূল প্রভাব পড়ার প্রমাণ মিলেছে।

প্রসঙ্গত, ‘লারসেন অ্যান্ড টুব্রো’র চেয়ারম্যান এস এন সুব্রহ্মণ্যম বলেছিলেন, “আমি আফসোস করি যে, তোমাদের দিয়ে রবিবার কাজ করাতে পারি না। আমি যদি তোমাদের রবিবারে কাজ করিয়ে নিতে পারি, তাহলে খুশি হব। ঘরে বসে কী করো তোমরা? কতক্ষণ তোমাদের স্ত্রীদের দিকে তাকাও?”

এদিকে নারায়ণমূর্তিকে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের নিদান দিয়ে। একটি পডকাস্টে কথা বলার সময় নারায়ণমূর্তি জানিয়েছিলেন, ভারতের কর্ম সংস্কৃতির বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে তরুণদের। তাঁর কথায়, ”ভারতের কর্ম-উৎপাদনশীলতা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।” এই পরিস্থিতিতে ৭৭ বছরের নারায়ণমূর্তির পরামর্শ, ”আমার মতে তরুণদের অবশ্যই বলা উচিত, এটা আমার দেশ। আমি ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে চাই।” এর পরই শুরু হয় বিতর্ক। কিন্তু এদিন কেন্দ্রের মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মনে করা হচ্ছিল, নারায়ণমূর্তিদের দীর্ঘ সময় কাজের নিদানের মধ্যে শিল্পজগতের অতিরিক্ত মুনাফার দিকেই ফোকাস করার ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক সমীক্ষায় যেন মনে করিয়ে দেওয়া হল, এদেশে শ্রম আইন এখনও বলবৎ পুরোমাত্রায়। তাকে অতিক্রম করে অতিরিক্ত সময়ের জন্য কাজে কাউকেই বাধ্য করা সমীচীন নয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *