নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে ১০ বছর এদেশে বাস, বাংলাদেশ ফেরার আগে বসিরহাটে গ্রেপ্তার ২২ রোহিঙ্গা

নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে ১০ বছর এদেশে বাস, বাংলাদেশ ফেরার আগে বসিরহাটে গ্রেপ্তার ২২ রোহিঙ্গা

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: মায়ানমার  থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে এসেছিল রোহিঙ্গারা। হায়দরাবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা থাকছিল। ফের তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ ফেরার চেষ্টা করছিল। সেসময় তাদের গ্রেপ্তার করা হল। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার শায়েস্তানগর এলাকায়। আজ, শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। আসল নাম, পরিচয় গোপন করে তারা এদেশে থাকছিল বলে খবর। ধৃতরা কী কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে থাকছিল?  কী কারণে তারা এদেশে ঘাঁটি গেড়েছিল? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার ভোররাতে শায়েস্তা নগর ১ ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের লবঙ্গ এলাকায় ২২ জনকে ইতস্তত ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। স্থানীয়দের তাদের দেখে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বাদুড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি পাওয়া যায়। কোনও বৈধ কাগজপত্রও ছিল না তাদের কাছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ ফেরার পরিকল্পনা ছিল। সেজন্যই গভীর রাতে তারা ওই এলাকায় পৌঁছেছিল। এরপরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ধৃতদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা, চার পুরুষ ও ১৩ জন নাবালক ও নাবালিকা আছে। ধৃতরা জানিয়েছে, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে তারা ভারতে ঢুকেছিল ১০ বছর আগে। হায়দরাবাদে তারা এই এক দশক থেকেছে। ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তারপর থেকে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে অভিযানও চলছে। সেই থেকেই তারা বাংলাদেশ ফেরার পরিকল্পনা করে। একাধিক রাজ্য পেরিয়ে তারা বসিরহাটে এসে পৌঁছয়। দালালের মাধ্যমে তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। কিন্তু এক দশক ধরে তারা নাম, পরিচয় ভাঁড়িয়ে এই দেশে থাকছিল! কারও কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য ছিল না! কী কারণে তারা এদেশে ছিল? নাশকতা-সহ অন্য কোনও পরিকল্পনা ছিল কি তাদের? সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *