সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ের উদ্বেগ, ভালোবাসা, ইচ্ছা। তাতেই জুড়ল দুই মন। রাজনীতির আঙিনা থেকে এবার ছাঁদনাতলায় দিলীপ ঘোষ! বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির সহযোদ্ধা থেকে সহধর্মিণী হতে চলেছেন রিঙ্কু মজুমদার। ছেলের সিদ্ধান্তে নাকি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন মা পুষ্পলতা।
আজ কলকাতা, তো কাল মেদিনীপুর, আবার পরশু দিল্লি। জনসভা, মিছিলের ব্যস্ততায় দিন কাটে দিলীপ ঘোষের। রাজনীতির নেশায় বুঁদ ছেলে। সারাজীবন কে দেখবেন আদরের ‘নাড়ু’কে, তা নিয়ে দিনরাত চিন্তা করতেন মা পুষ্পলতা। তবে এবার চিন্তা দূর। শোনা যাচ্ছে, শুক্রবারই প্রেমিকা রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে আইনি বিয়ে সারছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। ভাবী পুত্রবধূকে নাকি বেজায় পছন্দ দিলীপের মায়ের।
আগে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন দিলীপ ঘোষের মা। তবে সূত্রের খবর, গত লোকসভা নির্বাচনে ছেলের হারে উদ্বেগ বাড়ে তাঁর। বেশ কয়েকদিন যাবৎ ছেলের কাছে চলে আসেন বৃদ্ধা পুষ্পলতা। নিউটাউনের বাড়িতে মায়ে পোয়ে বাস। সেখানেই রিঙ্কুর সঙ্গে দেখা। দলের কাজে মাঝেমধ্যে বিজেপি নেতার বাড়িতে আসতেন রিঙ্কু। তিনি বিবাহবিচ্ছিন্না। এক সন্তানের মা। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। ‘লড়াকু’ রিঙ্কুকে ভালো লেগে যায় বৃদ্ধারও। তাঁর ছেলের সঙ্গেও সুসম্পর্ক তৈরি হয়। ছেলেকে বিয়ের জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকেন পুষ্পলতা। ইতিমধ্যে আবার দিলীপ ঘোষকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে আছেন রিঙ্কু। সূত্রের খবর, মুখে না বললেও, ততদিনে মন হারিয়েই ফেলেছিলেন দিলীপ। অবশেষে তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত। শোনা যাচ্ছে, শুক্রবার মায়ের উপস্থিতিতেই আইনি বিয়ে সারবেন দিলীপ ও রিঙ্কু। আমন্ত্রিতের তালিকা তেমন দীর্ঘ নয়। তবে এই বিয়ে নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। শাসক শিবিরের তরফে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন দিলীপ। তবে গেরুয়া শিবিরের প্রায় সকলেই স্পিকটি নট। শোনা যাচ্ছে, দল নাকি বিয়ের সিদ্ধান্তকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না। শেষমেশ কী করেন বিজেপি নেতা, সেটাই এখন দেখার।