নয়াদিল্লি স্টেশনে কুম্ভগামী পুণ্যার্থীদের ভিড়ে পদপিষ্ট, মৃত বেড়ে ১৮, আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি স্টেশনে কুম্ভগামী পুণ্যার্থীদের ভিড়ে পদপিষ্ট, মৃত বেড়ে ১৮, আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা কেন্দ্রের

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণ্যার্থীদের অনিয়ন্ত্রিত ভিড়, গুজব, অব্যবস্থা। নয়াদিল্লি স্টেশনে সার্বিক ‘সিস্টেম ফেলিওরে’র জেরে চলে গেল অন্তত ১৮টি প্রাণ। শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে হুড়োহুড়ি এবং পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জন মহিলা এবং ৪ শিশু। আহত অবস্থায় বহু মানুষ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে মহাকুম্ভে যাওয়ার জন্য নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে ভিড় জমিয়েছিলেন শয়ে শয়ে যাত্রী। গন্তব্যে যাওয়ায় জন্য ট্রেন আসতে দেরি হচ্ছিল। তখন গুজব ছড়ায় দুটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের তরফে  এই বিষয়ে কোনও রকম ঘোষণা করা হয়নি বলেই দাবি। এই অবস্থায় ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যার্টফর্মে ভিড়ের চাপ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। পরিস্থিতি মুহূর্তের মধ্যে ভয়াবহ আকার নেয়। প্রথমে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪ জন। হুড়োহুড়ি আরও বাড়তে থাকে। পদপিষ্ট হয়ে আহত হন বহু মানুষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

রেল সূত্রের খবর, প্রবল ভিড়ের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে দুটি কুম্ভগামী ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যার জেরে প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস দেখামাত্রই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে সেই ট্রেনে উঠতে যান। ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। খবর পেয়েই রেল পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশের দল নয়াদিল্লি স্টেশনে যায়। কিন্তু তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘পদপিষ্টের ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে প্রশাসন।’ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। ওই ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে রেল। মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের আড়াই লক্ষ টাকা এবং যাঁদের আঘাত সামান্য, তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *