সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেকেআরকে সামনে পেলেই যেন বাড়তি মোটিভেশন মেলে তাঁর। এর আগে নাইটদের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। আর নববর্ষের রাতেও নাইটভক্তদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ালেন সেই তিনি- যুজবেন্দ্র চাহাল। চার উইকেট তুলে নিয়ে কার্যত জেতা ম্যাচ নাইটদের থেকে ছিনিয়ে নিলেন। পাঞ্জাব কিংসকে অল্প রানে বেঁধে ফেললেও শেষ পর্যন্ত জিতে ফিরতে পারল না কেকেআর।
মঙ্গলবারের মুল্লনপুর যেন ব্যাটারদের বিভীষিকা ছিল। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়স। যদিও টসের সময় কেকেআর অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে জানান, এই পিচে প্রথমে বল করতে চেয়েছিলেন। তবে এদিন ম্যাচ শুরু হতেই বোঝা যায়, কতখানি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক। প্রথম দুই ওভারে আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই চার উইকেট হারায় পাঞ্জাব। ব্যাটিং লাইন আপের প্রথম তিন উইকেট গিয়েছে হর্ষিত রানার ঝুলিতে। হর্ষিতের বোলিংয়ে বেসামাল হয়ে যাওয়ার পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাঞ্জাব ব্যাটিং লাইন আপ। সবমিলিয়ে নাইট বোলারদের দাপটে ১৫.৩ ওভারেই শেষ হয়ে যায় পাঞ্জাব ইনিংস। সাকুল্যে ১১১ রান তোলে তারা।
১১২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান সুনীল নারাইন। তৃতীয় ওভারের শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি’ককও। সাত রানে জোড়া উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকা কেকেআর ইনিংসকে গড়েন রাহানে। অধিনায়কের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেন তরুণ অঙ্গকৃশ রঘুবংশীও। তবে দশম ওভারে তিনি আউট হতেই ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ হাতছাড়া হয় কেকেআরের। অঙ্গকৃশ যখন আউট হন, নাইটদের স্কোর তখন ৭২। মাত্র ২৩ রানের মধ্যে ৬ উইকেট পড়ল নাইটদের। শেষদিকে একটা মরিয়া লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তবে মার্কো জানসেনের শিকার হন তিনি।