সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢেলে সাজানো হয়েছে জিএসটির কাঠামো। তার জেরেই আমেরিকার শুল্কবোমা সামলে দেবে ভারত। এমনটাই মনে করছে বিশ্লেষক মহল। বুধবার রাতে ঘোষিত হয়েছে নতুন জিএসটি কাঠামো। তারপর থেকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আমজনতার ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। ফলে ট্রাম্পের শুল্কবোমা প্রতিহত করার মতো জায়গা তৈরি করতে পারবে ভারতীয় অর্থনীতি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান, নবরাত্রির প্রথম দিন অর্থাৎ ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন জিএসটির হার কার্যকর হবে। ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশের স্ল্যাব তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে জিএসটিতে কেবল ৫ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশের স্ল্যাব থাকবে। ১২ শতাংশ করের আওতায় থাকা পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশের শ্রেণিতে ভাগ করে দেওয়া হবে। তবে বিলাসবহুল পণ্য এবং তামাকজাত পণ্যে ৪০ শতাংশ জিএসটি থাকবে। অন্তত ১৭৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে বলে অনুমান। তার ফলে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ৫.৩১ লক্ষ কোটি টাকা বাড়বে বলে অনুমান এসবিআইয়ের রিপোর্টে।
সেই জোরেই ট্রাম্পের শুল্কবোমার ক্ষতি সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করছে বিশ্লেষক মহল। জিএসটি কাঠামো পরিবর্তনের আগেই রেপো রেট কমিয়েছে আরবিআই। ছাড় দেওয়া হয়েছে আয়করেও। মুদ্রাস্ফীতি কমবে বলেও অনুমান করা হয়েছে। এই চারটি বিষয় একত্রিত হয়েই পণ্য কেনার পরিমাণ হু হু করে বাড়বে বলে ধরে নিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যেহেতু বাজারে বিরাট অঙ্কের লেনদেন হবে, তার প্রভাবে পরবর্তীকালে দেশের জিডিপিও বাড়তে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও, জিডিপি বৃদ্ধির মাধ্যমে পরোক্ষে ট্রাম্পের শুল্কবাণের ধাক্কা সামলে উঠতে পারে ভারত।
ট্রাম্পের শুল্কবাণের জেরে মার্কিন মুলুকে ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই পরিস্থিতিতে নতুন জিএসটির হাত ধরে দেশীয় বাজারে চাহিদা বাড়বে। সামনে উৎসবের মরশুমেও বাড়বে কেনাকাটা। তাই যে ব্যবসায়ীরা বিদেশে, বিশেষত মার্কিন মুলুকে রপ্তানি করতেন, তাঁরা এবার দেশীয় বাজারে মন দিতে পারেন। ফলে ব্যবসায় লাভের জন্য আর আমেরিকার আশায় বসে থাকতে হবে না তাঁদের। সবমিলিয়ে এমনই নানা কারণে নতুন জিএসটির হাত ধরে ট্রাম্পের শুল্কবাণ উপেক্ষা করে বৃদ্ধি পেতে পারে ভারতের অর্থনীতি।