স্টাফ রিপোর্টার: নারী নিগ্রহ ও শ্লীলতাহানি-ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যে অভিযুক্ত প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন গেরুয়া নেতা। তাঁদের বাঁচাতে ‘অপরাজিতা বিলে’ রাষ্ট্রপতির অনুমোদন আটকে দিয়েছে বিজেপি। শনিবার গেরুয়া শিবিরের অন্যতম দুই নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও প্রদীপ যোশীর বিরুদ্ধে পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগের উল্লেখ করে এমনই বিস্ফোরক দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু এঁরাই নন, অপরাজিতা বিল আইনে পরিণত হলে কার্তিক মহারাজের মতো একাধিক বিজেপি নেতাকে ভয়ংকর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এঁদের সকলের বিরুদ্ধেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলের মহিলা কর্মীদের দিনের পর দিন ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের অভিযোগ রয়েছে। স্বভাবতই পার্টির অভিযুক্ত নেতাদের বাঁচাতে রাষ্ট্রপতিকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আনা কঠোরতম শাস্তির প্রস্তাব সম্বলিত বিলটি আটকে দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের।
তৃণমূলের দাবি, আর জি করের ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে এই নারী সুরক্ষার বিলটি পাশ করান। নাবালিকা ও নারী ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোরতম শাস্তির প্রস্তাব রয়েছে এই বিলে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক তাকে ‘অতিরিক্ত কঠোর শাস্তি’ বলে অভিমত জানিয়ে বিলটি আটকে দেয়। তা বাংলার রাজ্যপালকে ফেরত পাঠাতে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিয়েছে। বস্তুত, শাহের দপ্তরের এই ‘অতি সক্রিয়তা’র নেপথ্যে গত বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় বিজেপির দায়িত্বে থাকা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও প্রদীপ যোশীদের বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা রয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। কৈলাস ও প্রদীপের বিরুদ্ধে দলেরই মহিলারা দিনের পর দিন ধর্ষণ-শ্লীলতাহানির মারাত্মক অভিযোগ করেছেন। তৃণমূলের দাবি, যদি ‘অপরাজিতা’ বিলে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেন এবং তা বাংলায় আইনে পরিণত হয়, তখন কৈলাস, কার্তিক, প্রদীপরা ফেঁসে যাবেন।
উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের পর নারী নির্যাতন বন্ধে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বিধানসভায় পাস হওয়া ‘অপরাজিতা’ বিল কেন্দ্রের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ইতিমধ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যপাল অবশ্য রাজভবনে এদিন সাংবাদিকদের জানান, “রাষ্ট্রপতি ফেরত পাঠিয়েছেন, তাই আমিও রাজ্য সরকারকে বিলটি ফেরত দিয়েছি।”