সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশি সন্দেহে ধরপাকড় চলবেই! ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তা ইস্যুতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কোনও নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। মৌখিক পর্যবেক্ষণে আদালত জানাল, এই মুহূর্তে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করলে সেটার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ বলছে, ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের ধরপাকড় নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এই মুহূর্তে কোনওরকম নির্দেশ দিলে সেটার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই মুহূর্তে আদালত কোনও নির্দেশ দিলে বাংলাদেশ থেকে বৈধ নথি-সহ এ দেশে এসেছেন যাঁরা, তাঁদের সমস্যা হতে পারে। আবার একই সঙ্গে বেঞ্চ বলে, “যদি কেউ অবৈধ ভাবে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে আটক না করা হয় তাহলে সে সহজেই অদৃশ্য হয়ে যাবে!” সব দিক বিবেচনা করে শীর্ষ আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। যার অর্থ ভিনরাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে যে ধরপাকড় চলছে সেই ধরপাকড় প্রক্রিয়া চলবেই।
বাংলাদেশি বলে দেগে দিয়ে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্তা করা হচ্ছে। প্রায় সব বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকেই এই ধরনের অভিযোগ আসছে। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। একাধিক রাজ্যে বহু বাঙালি শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাঙালিদের হেনস্তার অভিযোগ উঠছে। এই নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। তাতে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ সব রাজ্য ও কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছে। ৮ সপ্তাহের মধ্যে তাদের হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ আদালতের সাফ কথা, যারা অবৈধ ভাবে ভারতে এসেছে, নির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী তাদের নির্বাসন দেওয়ার প্রয়োজন! তাছাড়া যে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করছেন, সেই রাজ্যেরও অধিকার রয়েছে শ্রমিকদের তথ্য জানার। পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের তরফে দায়ের হওয়া ওই মামলায় বাংলাদেশি অভিযোগে ধরপাকড়ে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি।