ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দ্রাবিড়ভূমে ঘাসফুল ফোটাতে এবার কেরলে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। আগামী ১৯ জুন কেরলের নীলাম্বুর কেন্দ্রে হতে চলা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক পিভি আনভারকে। আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার তাঁর হয়ে কেরলে প্রচার করতে যাচ্ছেন বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান।
জানা গিয়েছে, আগামিকালই কলকাতা থেকে বিমানে কেরল পৌঁছবেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে নীলাম্বুর কেন্দ্র এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী পিভি আনভারকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালাবেন। এই প্রচারে তুলে ধরা হবে বাংলা মডেলকে। একদা সিপিএমের টিকিটে ভোটে জেতা ও পরে নির্দল হিসেবে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী বিধায়ক আনভারের জয় নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ঘাসফুল শিবির। সে কথা মাথায় রেখেই দাক্ষিণাত্যে ঘাসফুল ফোটাতে প্রচারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপ জয়ী তারকা ক্রিকেটার তথা সাংসদ ইউসুফকে।
উল্লেখ্য, পিনারাই বিজয়ের একচেটিয়া ‘আধিপত্যে’ বিরক্ত হয়ে ঠিক মাস ৬ আগে, জানুয়ারিতে দলবদল করেছিলেন পিভি আনভার। কেরলের রাজনৈতিক অন্দরে পরিচিত মুখ পিভি আনভার শুরুতে সিপিএমেই ছিলেন। ভোটে জিতে বিধায়কও হন। তারপর পিনারাই বিজয়নের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে সরব হন তিনি। আর তাতেই শাসকদলের রোষানলে পড়েন। পিনারাই বিজয়ন সরকার তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এরপর নীলাম্বুর কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ে জেতেন। শোনা যায়, কেরলের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও জোরদার করতে গত বছর থেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন পিভি আনভার। সেইমতো গত ১০ জানুয়ারি থেকে তাঁর নতুন পরিচয় হয় কেরলের একমাত্র তৃণমূল নেতা হিসেবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ঘাসফুল শিবিরের উত্তরীয় পরে, পতাকা হাতে দলে যোগ দেওয়ার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, ”পিনারাই জমানার শেষ দেখতে চাই।”
বাম বিরোধী অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ আনভারকে বড় দায়িত্ব দিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। দক্ষিণ ভারতে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারে আহ্বায়ক পদে বসানো হয় তাঁকে। আর ছ’মাস পর কেরল উপনির্বাচনে তাঁকেই প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয় দল। এবার সেই আনভারকে জিতিয়ে দাক্ষিণাত্যে এই প্রথম ঘাসফুল ফোটাতে কোমর বেঁধে নামল তৃণমূল।