বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ‘খেলা’ শুরু। কঠিনও। দু’পক্ষই একে অপরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রতিদিন নয়া কৌশল নিচ্ছে। এবার যে অনায়াসে জয় আসবে না, খেলার শুরুতেই তা বুঝতে পেরেছে সরকার পক্ষ। তাই উপরাষ্ট্রপতি পদে জয় ছিনিয়ে আনতে দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়কে কৌশলে ময়দানে নামিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা। প্রতিপক্ষ ইন্ডিয়া জোট আগেরবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে কিছুটা ছন্নছাড়া থাকলেও এবার অনেক ঐক্যবদ্ধ।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেখানে এনডিএ জোটের প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ। তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী বি সুদর্শন রেড্ডি। জন্মসূত্রে তিনি দক্ষিণ ভারতীয়। একসময় চন্দ্রবাবু নায়ডুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। উল্লেখ্য, লোকসভায় স্পিকার পদ চেয়ে দাবি করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা মেলেনি। এই বিষয়টিকে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইতিবাচক ভাবে দেখতে পারে ইন্ডিয়া জোট।
এর পাশাপাশি রয়েছে অঙ্কের খেলা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদের দুই কক্ষের সাংসদরা। জগদীপ ধনকড় যখন নির্বাচিত হন, সেসময় লোকসভায় বিজেপির একার ৩০২ সাংসদ ছিল। তারপর শরিকদের সমর্থন ছিল। রাজ্যসভাতেও অনেকটাই এগিয়ে ছিল এনডিএ। এবার বিজেপির ২৩৫ সাংসদ। ফলে নির্ভর করতে হচ্ছে নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডু, চিরাগ পাসোয়ানদের ওপর। এছাড়াও ছোট ছোট শরিকদের কাছে সমর্থনের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
অন্যদিকে, এবার ইন্ডিয়া জোট আগেরবারের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। গতবার লোকসভায় কংগ্রেস ছিল ৫৪ আসন। এবার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ। আবার তৃণমূল বা ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির শক্তিও দ্বিগুণ হয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ময়দানে নামিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা। এরপরেও রয়েছে নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি বা জগনমোহনের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। যদিও দুই দলই এনডিএর প্রার্থী রাধাকৃষ্ণণকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখনও নির্বাচনের আগে অনেকটা সময় রয়েছে। ফলে এই দুই দল অবস্থান পরিবর্তন করলে রাধাকৃষ্ণণকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন