প্রণব সরকার, আগরতলা: কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ত্রিপুরার ৫ পর্যটক। পহেলগাঁও থেকে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ফোনে ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে জানালেন তাঁরা। সারা রাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি তাঁরা। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়ে চিন্তায়।
ব্যাঙ্ক আধিকারিক সুপ্রিয় চক্রবর্তী বেড়াতে গিয়েছিলেন ভূস্বর্গে। তিনি জানান, হামলার সময় তাঁরাও পেহেলগাঁওতেই ছিলেন। দোকানে কেনাকাটা করছিলেন। হঠাৎ করে দোকানের কর্মচারী জিনিস বিক্রি করতে অস্বীকার করেন। বলে,”পালাও পালাও।” দোকানের কর্মচারীও পালিয়ে গেলেন। সুপ্রিয়বাবুর কথায়, “আমরাও কোনওরকমে দৌঁড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করলাম। চারিদিকে শুনতে পেলাম গুলির আওয়াজ। কাল সারারাত কোনওরকমে কাটিয়েছি।” জীবনে কোনওদিন এ ধরনের আতঙ্কের মধ্যে পড়েননি তাঁরা। এখন কীভাবে ফিরবেন সেটা নিয়েই চিন্তিত সুপ্রিয়বাবুর পরিবার। ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা ভুলতে পারছেন না তিনি। বলছেন, “কোনওরকমে প্রাণ বেঁচেছে। রক্ষা করার কেউ ছিল না তখন। চিৎকারে কান্নায় ভারি হয়ে গিয়েছে কাশ্মীরে আকাশ-বাতাস।”
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্করের টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। জানা যাচ্ছে, এই হামলার জড়িত জঙ্গিরা বেশিরভাগই বিদেশি। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে চার জঙ্গির ছবি।