দুর্গাপুজোয় এবার আগমন AI-এর, শিল্পীর অত্যাধুনিক ভাবনায় সাজবে কলকাতার এই মণ্ডপ

দুর্গাপুজোয় এবার আগমন AI-এর, শিল্পীর অত্যাধুনিক ভাবনায় সাজবে কলকাতার এই মণ্ডপ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


শুভ্ররূপ বন্দ্যোপাধ্যায়: চ্যাটজিপিটির এক ক্লিকে কখনও আমরা রাজা-রানির বেশ ধারণ করছি, তো কখনও হয়ে যাচ্ছি কার্টুনের চরিত্র। আবার জটিল কোনও সমস্যার নিমেশে মিলছে সমাধান। আপাত দৃষ্টিতে প্রযুক্তির এই আধুনিকতা উপভোগ্যই বটে। কিন্তু আড়ালে আবডালে কি এই প্রযুক্তিই মানব সমাজকে ‘পঙ্গু’ করে তোলার জন্য যথেষ্ট হয়ে উঠবে? এ প্রশ্ন এবার জড়িয়ে যেতে চলেছে কলকাতার দুর্গাপুজোতেও। ঈশ্বরে বিশ্বাস এবং আধুনিক বিজ্ঞানকে একসুতোয় বাঁধতে চলেছেন শিল্পী সুবল পাল।

সত্যজিৎ রায়ের ‘অনুকূল’ গল্পটির কথা মনে আছে? যেখানে ‘রোবট’ ভৃত্যই শেষমেশ মালিককে ‘সরিয়ে’ যাবতীয় সম্পত্তির অধিকারী হয়ে যায়। সেই কবে তিনি বিজ্ঞানের আশীর্বাদ আর অভিশাপের সহাবস্থানের বর্ণনা দিয়েছিলেন গল্পের মধ্যে দিয়ে। তাঁর লেখা যে আজও কতখানি প্রাসঙ্গিক, সেকথা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রমরমায় কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর এখন জলভাত। তাহলে? মানুষের কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ কী? সে উত্তর সময়ের গর্ভে। কিন্তু কালের নিয়মে গুটি গুটি পায়ে দুর্গাপুজোর শিল্পেও এবার ঢুকে পড়ল এআই। ভাবছেন তো কলকাতার কোন পুজোয় এবার এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে আলাপ হবে? উত্তর হল, উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্ক।

কখনও বনগাঁ লোকাল, তো কখনও কলকাতা মেট্রোর থিমে সেজে কলকাতার দুর্গাপুজোর মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিয়েছে জগৎ মুখার্জি পার্ক। এবার সেই শিল্পীর হাত ধরেই অভিনব এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন পুজোপ্রেমীরা। মানব জীবনে এআই-এর উপস্থিতি, তার প্রভাব, প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতখানি, আবার কখন সে-ই হয়ে ওঠে ‘অসুর’, মণ্ডপজুড়ে তারই প্রতিফলন ঘটবে। সুবল পালের কথায়, ‘একটা সময় যখন কম্পিউটার এল, তখনও অনেকে রে রে করে উঠেছিল। কিন্তু দেখা গেল, তা মানুষের হীতেই ব্যবহৃত হয়েছে। এখন এআই একটা ঘরেই গোটা পৃথিবী তৈরি করে দিতে পারে। বলা ভালো মানুষের জীবনের দখল নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। পরবর্তীতে তা মানুষের আচরণ আর ক্ষমতায় কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই আমার কাজে ধরা পড়বে।’

আর প্রতিমা? সেখানেও কি থাকবে প্রযুক্তির ছোঁয়া? পুজোর এত মাস আগে সবটা বলে দিতে একেবারেই নারাজ শিল্পী। তবে এটুকু বলে দিয়েছেন, সেখানেও থাকবে চমক। ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি এবং বিশ্বাসে দর্শনার্থীদের যাতে আঘাত না লাগে, সেকথা মাথায় রেখেই দুর্গাকে গড়ে তুলবেন সুবল পাল। সবমিলিয়ে শিল্পীর অভিনব সৃজনে বাংলার দুর্গাপুজো ফের বিস্মিত করবে গোটা বিশ্বকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *