তৃণমূলের পালটা ‘রাজনৈতিক বিশ্লেষক’ সংস্থা বিজেপির, ভালো বেতনে নিয়োগ করা হচ্ছে ‘হিন্দুত্ববাদী’ কর্মী

তৃণমূলের পালটা ‘রাজনৈতিক বিশ্লেষক’ সংস্থা বিজেপির, ভালো বেতনে নিয়োগ করা হচ্ছে ‘হিন্দুত্ববাদী’ কর্মী

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আই প্যাকের ভূমিকা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের টানাপোড়েন মোটামুটি মিটেছে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে মনে করা হচ্ছে, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের রণকৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে এই রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা। আসলে শাসকদল উপলব্ধি করেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল স্তরের তথ্য জোগাড়ের জন্য পেশাদার সংস্থা নিয়োগ জরুরি। সেই একই উপলব্ধি এবার হল বিরোধী শিবির বিজেপিরও। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের মতো রাজ্যে আলাদা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা নিয়োগ করছে বিজেপিও। ইতিমধ্যেই নিচুতলায় সেই সংস্থার সঙ্গে কাজ করার জন্য কর্মীদের কাছে বার্তা পাঠানোও শুরু করেছে বিজেপি।

আসলে বঙ্গ বিজেপি মনে করছে, একুশের ভোটে তৃণমূলের সাফল্যে বড় ভূমিকা ছিল পরামর্শদাতা সংস্থার। নাহলে উনিশের লোকসভায় ধাক্কা খাওয়ার পর একুশে এত ভালো ফলাফল সম্ভব হত না। বিজেপি চাইছে ছাব্বিশে তাঁদের পক্ষেও মির‍্যাকেল ঘটিয়ে দিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা। ওই সংস্থার কর্মীদের কাজ হবে তৃণমূল স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের সমস্যা শোনা। সেটার ভিত্তিতে ডেটাবেস তৈরি করা। কোন এলাকার ইস্যু কী, কোন এলাকায় সংঘ এবং বিজেপির আদর্শের প্রভাব কতটা, এসব থাকবে ওই ডেটাবেসে। ভোটের প্রচারেও ব্যবহার করা হতে পারে ওই সংস্থার কর্মীদের। বিজেপি-আরএসএসের আদর্শ প্রচারের কাজেও ব্যবহার করা হবে এদের।

সূত্রের দাবি, বিজেপি চাইছে ওই সমীক্ষক বা বিশ্লেষক সংস্থাতে ভিনরাজ্যের কর্মীদের থেকে বাংলার বাংলাভাষী কর্মীর সংখ্যা বেশি থাকুক। তাতে একে তো বাংলার সাধারণ মানুষের সমস্যা বুঝতে সুবিধা হবে, তার উপর ভিনরাজ্যের কর্মীরা কাজ করলে তাতে ‘বহিরাগত’ তকমা আরও প্রবলভাবে সেঁটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ওই বিশ্লেষক সংস্থা রাজ্য থেকেই কর্মী নিয়োগ করবে। বিজেপির বক্তব্য, এতে রাজ্যের বেকার সমস্যাও কিছুটা মেটানো যাবে। নিয়োগের শর্তও নির্ধারিত হয়েছে।

কী শর্ত?
আবেদনকারীকে অবশ্যই হিন্দুত্ববাদী ভাবধারার হতে হবে। এক্ষেত্রে বিজেপি বা সংঘ বা অন্য কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্তরা প্রাধান্য পাবেন। বয়স ৩৫ বছরের নীচে হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। স্মার্ট ফোন থাকতেই হবে। সেই সঙ্গে কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হবে। এমএস অফিস এবং এক্সেলে কাজ জানতে হবে। আবেদনকারীর মোটরবাইক বা স্কুটার থাকা আবশ্যিক। বেতনও ভালো। মাসিক ৩৫ হাজার টাকা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *