সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কম নম্বর পাওয়ায় পাশ করতে পারেনি সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষার মক টেস্ট। সেই কারণেই স্কুল শিক্ষক বাবার নির্মম অত্যাচারে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হল ১৭ বছরের এক কিশোরীর। মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার এমন ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত সাধনা ভোসলে মহারাষ্ট্রের আটপাডির একটি স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। এর জন্য মক টেস্টও দিচ্ছিল। কিন্তু মক টেস্টে ভালো ফলাফল করতে না পারায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পেশায় স্কুল শিক্ষক বাবা।
অভিযোগ, সাধানার খারাপ রেজাল্ট দেখে তার বাবা ধোন্দিরাম ভোসলে বকাবকি করতে থাকেন। এমন সময়ই সাধনা তার বাবাকে বলে, ‘তুমিও তো কম নম্বর পেয়েছিলে।’ আর এতেই রেগে যান ধোন্দিরাম। লাঠি দিয়ে মেয়েকে মারধোর শুরু করেন তিনি। নির্মমভাবে মারার ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সাধনা। স্ত্রী বাধাকে উপেক্ষা করে মেয়েকে মারধোর করতে থাকেন ধোন্দিরাম। অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি সাধনাকে।
পরেরদিন সকালে অনেক ডাকাডাকির পরও মেয়ে না উঠলে ভয় পেয়ে যান ধোন্দিরাম ও তাঁর স্ত্রী। তড়িঘড়ি মেয়েকে নিয়ে হাতপাতালে ছোটেন তাঁরা। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সাধনার। যদিও হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে মেয়ের শরীরে আঘাত নিয়ে মিথ্যে কথা বলেন পেশায় স্কুল শিক্ষক ধোন্দিরাম। চিকিৎসকদের তিনি জানান, পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিল মেয়ে। যদিও ময়ানাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায় আঘাতের ফলে শরীরের ভিতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে সাধনার। ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ধোন্দিরামের স্ত্রী। এরপরই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।