পিএসজি: ৪ (ফ্যাবিয়ান রুইজ ২, ডেম্বেলে, রামোস)
রিয়াল মাদ্রিদ: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ও ছেড়ে গেলে আমরা আরও ভালো টিম হিসাবে খেলতে পারব।’ কিলিয়ান এমবাপে যখন প্যারিস সাঁ জাঁ ছাড়লেন তখন জোর গলায় দাবি করেছিলেন কোচ লুইস এনরিকে। সেটা শুধু ফাঁকা বুলি ছিল না, ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিল প্যারিসের ক্লাবটি। রিয়াল মাদ্রিদকে স্রেফ ফালাফালা করে দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল পিএসজি।
এদিন ম্যাচের প্রথম ২৪ মিনিটেই কার্যত তছনছ হয়ে যায় রিয়াল দুর্গ। পিএসজির মুহুর্মুহু আক্রমণে ফালা ফালা হয়ে গেল রিয়াল রক্ষণ। মাত্র ৭ মিনিটের ব্যবধানে ৩ গোল হজম করে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে গেল লস ব্ল্যানকসরা। রিয়ালের ছন্নছাড়া রক্ষণ আর নড়বড়ে মাঝমাঠের ফাঁকে গলে ওই কয়েক মিনিটেই ম্যাচ বের করে নিয়ে চলে গেলেন প্যারিস ফরওয়ার্ডরা।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন ফাবিয়ান রুইজ। এর চার মিনিট পরেই ডেম্বেলের নিখুঁত ফিনিশ। খানিকক্ষণ বাদে ফের রুইজ। মাত্র ২৪ মিনিটেই স্কোরলাইন ৩-০! এর মধ্যে আবার অন্তত দুটি নিশ্চিত গোল রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া। না হলে প্রথমার্ধের স্কোরলাইন আরও লজ্জায় ফেলত রিয়ালকে। এর পর আর রিয়ালের কামব্যাকের কোনও রাস্তাই ছিল না। তাছাড়া রিয়াল আক্রমণে ভিনিসিয়াস, এমবাপেদের মধ্যে যে একেবারেই সমন্বয় নেই, সেটাও বারবার চোখে পড়েছে। রিয়ালের লজ্জার অবশ্য আরও বাকি ছিল। ম্যাচের ৮৭ মিনিট রামোস গোল করে রিয়ালের কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন।
রিয়ালকে ওড়ানোর পর ফাইনালে ইংল্যান্ডের চেলসির মুখোমুখি হবে প্যারিস সাঁ জাঁ। সদ্যই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় এবং তারপর ক্লাব বিশ্বকাপে যে ফর্ম ফ্যাবিয়ান রুইজ, ডেম্বেলেরা দেখাচ্ছেন তাতে পিএসজি এগিয়ে থেকেই শুরু করবে।