সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে দেশে নিষিদ্ধ হয়েছেন মাওরা হোসেন, ফাওয়াদ খান, মাহিরা হোসেনের মত বহু পাকিস্তানি শিল্পী। বলিউডের পোস্টার থেকে ব্রাত্য হয়েছেন তাঁরা। বলিউডের একাধিক ছবির পোস্টারে নেই তাঁদের মুখ। এমন ঘটনার মাঝেই রসিকতার সুর টুইঙ্কল খান্নার গলায়। বলিউডে পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন “আমার মনে হয় বলিউডে যেমন বিভিন্ন ছবি থেকে পাক শিল্পীদের বাদ দেওয়ার পর সমস্ত ছবির পোস্টার থেকে তাঁদের মুখ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঠিক সেভাবেই যেন আমাদের সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ঢিনচ্যাক পূজার গাওয়া ভিডিওগুলি থেকে পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী আবিদা পারভিন ও ফরিদা খানুমের গানগুলি সরিয়ে দেওয়া হোক। কারণ ওগুলো তো গান নয়, গানের গুঁতো।”
টুইঙ্কলের আরও বক্তব্য, “কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ছবি ‘সনম তেরি কসম’। মুক্তির পর থেকে ছবির গানগুলি বারবার শুনেছি। তারপর হঠাৎ দেখলাম, গানের অ্যালবামের কভার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাওরা হোসেনের ছবি। পরে জানতে পারি যে ভারত- পাক সংঘাতের জেরে ফাওয়াদ খান ও মাহিরা খানের ছবিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলিউডে তাঁদের সিনেমার পোস্টার থেকে।”
তবে শুধু রসিকতা করে এমনটা বলেই থামেননি টুইঙ্কল। একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে পাকিস্তানকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার এক অন্য উপায়ও বাতলেছেন তিনি। ঢিনচ্যাক পূজার গাওয়া ভিডিওগুলি সরাতে বলার পর তিনি পুনরায় রসিকতার সুরেই বলেন, “আমার মনে হয়, আবিদা পারভিন ও ফরিদা খানুমের গানগুলি ঢিনচ্যাক পূজার গলায় অবিলম্বে আবার রেকর্ড করা হোক। এটাই পাকিস্তানকে ঠিকঠাক শিক্ষা দেবে।”
টুইঙ্কলের এসব বলার কারণ বোঝা খুব একটা কঠিন নয়। যেহেতু ঢিনচ্যাক পূজার গান একপ্রকার গানের ‘গুঁতো’, তাই তা শুনে যাতে পাকিস্তানিদের কান ঝালাপালা হয়ে যায়, তাই হয়তো একথা বলেছেন অভিনেত্রী। এককথায় বলা যায়, টুইঙ্কল যেন মিছরির ছুরি! এর আগেও বারবার তাঁকে দেখা গিয়েছে খুব মিষ্টি করে মজার ছলেই প্রতিবাদ করতে। তাই এবারও অভিনেত্রীর এহেন আচরণ অস্বাভাবিক নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন