অর্ণব আইচ: ভূস্বর্গে ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টির ঘটনায়। ছবির মতো সুন্দর বৈসরন উপত্যকা লাল হয়েছে ২৬ জন পর্যটকের রক্তে। যার মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন পর্যটক। কয়েক মুহূর্তেই স্বজনহারা হয়েছে বেহালার সমীর গুহ, বৈষ্ণবঘাটার বিতান অধিকারী, পুরুলিয়ার মণীশরঞ্জন মিশ্রদের পরিবার। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা। ঠিক কী ঘটেছিল গত ২২ এপ্রিল? প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তা শুনতে এবার আসরে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শনিবার দুপুরে এনআইএ-র তথ্যানুসন্ধাকারী একটি দল প্রথমে বেহালায় সমীরের বাড়ি, পরে বৈষ্ণবঘাটায় বিতানের বাড়িতে পৌঁছে কাজ শুরু করে।
গত ২২ এপ্রিল বিকেলে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ঘোরার সময়ে আচমকাই জঙ্গি হামলা ঘটে। উপত্যকা বেষ্টিত এলাকায় গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চার জঙ্গি গুলিবৃষ্টি শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, পর্যটকদের ধর্ম পরিচয় জেনে তবেই নিকেশ করা হয়। বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করেছে জঙ্গিরা। আবার হামলা থেকে বেঁচে ফেরা কারও কারও বক্তব্য, ধর্মপরিচয় জানতে চায়নি জঙ্গিরা। ফলে এনিয়ে বিভ্রান্তি থাকছে। তবে বাস্তব এই যে, নিহত ২৬ জনের মধ্যে একজন বাদে সকলেই হিন্দু। জঙ্গি হামলা রুখতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন উপত্যকারই বাসিন্দা, টুর গাইড সইদ আদিল হোসেন। এই হামলার টার্গেট যে হিন্দুরাই, তাতে কোনও সংশয় নেই।
এই পরিস্থিতিতে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তার ‘আঁখো দেখা হাল’ জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতার যে দু’জন ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন এনআইএ-র ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা।