জ্যোতিকে শেষশ্রদ্ধায় বিদায়

জ্যোতিকে শেষশ্রদ্ধায় বিদায়

শিক্ষা
Spread the love


জলপাইগুড়ি: সাতসকালে বাস ধরে স্কুলে যাওয়ার ব্যস্ততা থেমে গিয়েছে বছরখানেক আগেই। সাংবাদিকের ব্যস্ততাও থমকে গিয়েছিল গত কয়েকমাস। নিজের প্রিয় কাগজ-কলমের দুনিয়া ছেড়ে অনন্তলোকে পাড়ি দিলেন সাংবািদক জ্যোতি সরকার। শনিবার দুপুরে মাসকালাইবাড়ি শ্মশানে তাঁর নশ্বর দেহ ছাই হয়ে গেল।

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে গত সোমবার থেকে জ্যোতি ভর্তি ছিলেন শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ির একটি নার্সিংহোমে। শুক্রবার রাতে সেখানেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শনিবার সকালে নার্সিংহোম থেকে তাঁর মরদেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরবঙ্গ সংবাদের শিলিগুড়ির অফিসে। সেখানে উত্তরবঙ্গ সংবাদের জেনারেল ম্যানেজার প্রলয়কান্তি চক্রবর্তী সহ দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে প্রবীণ সাংবাদিকের মরদেহ জলপাইগুড়ি শহরের নিউটাউনপাড়ায় তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। আত্মীয়পরিজনদের পাশাপাশি শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরা শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন।

জলপাইগুড়ির বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা এদিন এক হয়ে যান তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক উমেশ শর্মা, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার লোপামুদ্রা অধিকারী, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি শহরের থানা মোড়ে উত্তরবঙ্গ সংবাদের অফিসে। দপ্তরের কর্মীদের পাশাপাশি সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন পুরসভা ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপ মাহাতো, জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী ও বিশিষ্টরা। প্রবীণ সাংবাদিকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শহরের টেম্পল স্ট্রিটে জনমত পত্রিকার কার্যালয়ে। সেখানেও তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন অনেকে। জ্যোতি দীর্ঘদিন জলপাইগুড়ি রবীন্দ্র ভবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেখানেও নিয়ে যাওয়া হয়। রবীন্দ্র ভবন কমিটি শ্রদ্ধা জানানোর পর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি স্টুডেন্ট হেলথ হোমে। সেখানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সলিল আচার্য, পিনাকী সেনগুপ্ত শ্রদ্ধা জানান। ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক পান্থ দাশগুপ্তও।

জ্যোতি ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। নিয়মিত খেলার খবর করতে মাঠে ছুটে যেতেন। এদিন জেলা ক্রীড়া সংস্থার দপ্তরেও তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বেলা দুটো নাগাদ তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি মাষকালাইবাড়ি শ্মশানে। মেয়ে সহ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

The publish জ্যোতিকে শেষশ্রদ্ধায় বিদায় appeared first on Uttarbanga Sambad.



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *