সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বার বার অনুরোধ করেও অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! বাধ্য হয়ে ২০ টাকার প্লাস্টিকের ব্যাগ কিনে তার মধ্যে সদ্যোজাত সন্তানের দেহ নিয়ে সরকার বাসে বাড়ির পথে রওনা দিলেন আদিবাসী যুবক। মহারাষ্ট্রের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ২৮ বছর বয়সি সখারাম ও তাঁর স্ত্রী ২৬ বছরের অভিতার দুই সন্তান রয়েছে। স্বামী, স্ত্রী দু’জনেই থানে থানে জেলার বদলাপুরের একটি ইটভাটায় দিনমজুরের কাজ করেন। সখারাম জানান তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ১১ জুন তাঁর প্রসব বেদনা ওঠে। প্রথমে অভিতার প্রসবযন্ত্রণা ওঠে। সেই সময়ও অ্যান্বুল্যান্স ডাকলেও আসেনি বলে অভিযোগ। পরে এক আশাকর্মীকে খবর দেওয়া হলেও তিনি এসে ১০৮ ডায়াল করলেও কোনও জবাব আসেনি। এরপরেই একটি গাড়ি করে এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয় অভিতাকে। সেখান থেকে তাঁকে গ্রামীণ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকরা নাসিক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর ১২ জুন সেখানেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন অভিতা।
সখারাম জানান পরের দিন অর্থাৎ ১৩ তারিখ তাঁকে জানানো হয়, সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেও মৃতদেহটি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সখারামের কথায়, “একাধিকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও কোনও সুরাহা করে দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগ কিনে সরকারি বাসে করে ৯০ কিলোমিটার দূরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিই।” এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে সঠিক চিকিৎসার অভাবে সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সখারাম। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন