নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার শিকার বাংলা। জল জীবন মিশন প্রকল্পের প্রাপ্য টাকাও দেওয়া হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ তৃণমূলের। বাংলার প্রাপ্য বকেয়া ২৫০০ কোটি টাকা অবিলম্বে মেটানো হোক। সেই দাবি তুলে এদিন তৃণমূলের ১৫ জনের সংসদীয় প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিআর পাতিলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করল। বকেয়া দ্রুত মেটানোর দাবি জানানো হয়েছে।
এদিন বিকেলে জল শক্তি মন্ত্রকের দপ্তরে গিয়ে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাতিলের সঙ্গে প্রায় আধ ঘন্টা বৈঠক করেন। অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্র দরাজহস্ত হলেও বাংলার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ কেন? সেই প্রশ্ন আরও একবার তোলা হল। এদিন ফের বাংলার প্রাপ্য ২৫০০ কোটি টাকার বকেয়া অবিলম্বে দেওয়ারও দাবি জানান তাঁরা। বৈঠকের পরে দলের বর্ষীয়াণ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জল জীবন মিশনের টাকা কবে পাওয় যাবে, তা নিয়ে কোনও আশ্বাস দেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফে এই অর্থ অনুমোদন করা হয়নি। বাজেটে বরাদ্দ করা হলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা টাকার অনুমোদন না দেওয়ায় সেই টাকা মেটানো সম্ভব হয়নি। কল্যাণ আরও বলেন, “অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে অবশ্য বহু টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাংলার থেকে আয়তনে ছোট রাজ্য অসম, ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলির জন্য বিপুল টাকা দিচ্ছে। অথচ বাংলার প্রতি তাদের কোনও দরদ নেই, বাংলার প্রতি কেন্দ্রর শুধুই অবহেলা। টাকা মেটানেরা ব্যাপারে কোনও আশা দেখতে পেলাম না।”
জল জীবন মিশন প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া আদায়ের দাবিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সি আর পাতিলের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় তৃণমূল প্রতিনিধি দলের। সেখানে কোন কোন বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে, তা সংসদের অন্দরে দলীয় দপ্তরে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে ঠিক করে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্মারকলিপির খসড়াও তিনিই তৈরি করে দিয়েছেন। এদিন সংসদে অভিষেক জানিয়েছেন, জল জীবন মিশনে হর ঘর জল প্রকল্পে রাজ্যের ২৫০০ হাজার কোটি টাকা বাকি রয়েছে। বাংলার প্রতি বৈমাত্রেয়সুলভ আচরণ করছে কেন্দ্র সরকার। কেন তা করা হচ্ছে? অবিলম্বে বাংলার প্রাপ্য মেটাতে হবে। এই দাবি নিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল সিআর পাতিলের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে বাংলার বকেয়া ৩৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়ার দাবি নিয়ে শিবরাজ সিং চহ্বানের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাওয়া হবে। তিনি নিজেও সেখানে যাবেন।
উল্লেখ্য, বাংলার প্রাপ্য টাকা যে কেন্দ্র সরকার আটকে রেখেছে। সেই কথা রাজ্যের সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে হবে। এই কথা দলের নেতা-কর্মীদের সাধারণ মানুষের কাছে বোঝানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।