জয়েন্ট এন্ট্রান্সে নতুন করে প্যানেল তৈরির নির্দেশ, ডেডলাইন বেঁধে দিল হাই কোর্ট

জয়েন্ট এন্ট্রান্সে নতুন করে প্যানেল তৈরির নির্দেশ, ডেডলাইন বেঁধে দিল হাই কোর্ট

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


গোবিন্দ রায়: ২০২৪ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স টেস্ট ফর মেডিক্যাল অ্য়ান্ড অ্যালাইড সায়েন্সের পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের (স্নাতকোত্তর) পরীক্ষায় নতুন করে প্যানেল তৈরি করার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। শুধু তাই নয়, এনিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের কাউন্সেলিং একমাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। সেখানে অন্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র পরীক্ষার্থীদেরও জায়গা দিয়েছে আদালত।

সেক্ষেত্রে মানতে হবে ২০১০ সালের আগের পুরানো ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ম। তালিকাভুক্ত ৬৬ টি সম্প্রদায়কেই এই মেধাতালিকায় রাখতে হবে এবং ওবিসি – এ এবং ওবিসি – বি তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের জন্য ৭ শতাংশ সংরক্ষণ নীতি মানতে হবে বলেও নির্দেশে জনিয়েছেন বিচারপতি চন্দ। বস্তুত, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ওবিসি সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনেই করতে হবে কাউন্সেলিং।

২০২৪ সালে ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের একাংশ কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাননি বলে অভিযোগ। যা নিয়ে মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। মামলা করেন আদ্রিকা মিত্র, মামণি সাউ সহ সফল প্রার্থীদের তরফে আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী ও সৈকত ঠাকুরতাদের বক্তব্য ছিল, “২০২৪ সালে পরীক্ষা হওয়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সেলিং হয়নি। তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার জন্যও নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা কেউই কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাক পাননি। কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না পেরে কোনও মেডিক্যাল কলেজে তাঁরা ভর্তি হতে পারছেন না। এরই মধ্যে ২০২৫ সালেরও ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বুধবার মামলার শুনানিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের ডিরেক্টরকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিচারপতি চন্দ। তাঁরা জানান, হাই কোর্টের নির্দেশে তাঁরা কি করবেন তা নিয়ে ধন্দে। তার প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্রের ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশে কোনও সমস্যা নেই বলে জানায় আদালত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *