সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দলের সাংসদদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, লোকসভায় দলের সমন্বয় নিয়ে খানিকটা অখুশি নেত্রী। তবে রাজ্যসভায় দলীয় কাজকর্ম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আর এখানেই অভিমানী হয়ে ওঠেন চিফ হুইপ কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। বলেন, ”যদি সমন্বয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমার থাকার দরকার কী?”
সোমবার দুপুরে দিল্লিতে তৃণমূলের সাংসদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখানেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে লোকসভার দলনেতা করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। সূত্রের খবর, লোকসভায় তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে যে খুব একটা খুশি নন, তা-ও জানান দলনেত্রী। এই বৈঠকের পরই চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি চিফ হুইপ ছিলাম। যদি সমন্বয়ে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে আমার থাকার দরকার কী? আমি ইস্তফা দিচ্ছি। কেউ লোকসভায় আসবেন না, দায় আমাকে নিতে হবে? কাকলিকে বলেছি, আমাকে পিছনের দিকে বসতে দিও।”
ইস্তফার পর ‘প্রতিপক্ষ’ কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে একহাত নেন কল্য়াণ। বলেন, “ইংরেজি বলা সুন্দরী বলা মহিলা হলেই যদি পার্টিতে দাম থাকে, তাহলে থাকবে। আমি তো বলেইছিলাম দিন খারাপ যাবে।” প্রসঙ্গক্রমে আজ সকালে দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে মুখোমুখি হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র। তারপরই ক্যামেরার সামনে হুগলির সাংসদের বাক্যবাণ ছিল, ‘দিনটাই খারাপ যাবে।’ বেলা গড়াতে কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, অনুমান খুব একটা ভুল হয়নি। দলের চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্য়াণ।