সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোরগোড়ায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ৮ বছর পর প্রত্যাবর্তন ঘটছে আইসিসি প্রতিযোগিতার। সেখানে নজর কাড়তে পারেন নতুন প্রতিভারা। কারা আছেন সেই তালিকায়?
বরুণ চক্রবর্তী (ভারত): বয়স ৩৩। জাতীয় দলে অভিষেকও হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। তবে কামব্যাক কাকে বলে দেখিয়ে দিয়েছেন বরুণ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে ম্যাজিক দেখানোর পর ওয়ানডেতে অভিষেক। সেই অর্থে তিনি নতুন তারকা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে ১৪টি উইকেট তুলেছিলেন। সেই সঙ্গে রীতিমতো ধাঁধার মধ্যে ফেলেছেন ইংরেজ ব্যাটারদের। অবশ্য অনেকের অভিযোগ, বরুণকে দলে নেওয়া কোচ গম্ভীরের অতিরিক্ত KKR-প্রীতি। সুযোগ পেলে কিন্তু নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে দিতে পারেন তিনি।
তাইয়াব তাহির (পাকিস্তান): ২০২৩-র এশিয়া কাপে নজর কাড়েন তিনি। বয়স ৩১। সেই হিসেবে ওয়ানডেতে অভিষেক হতে দেরিই হয়েছে। তবে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন খোদ ওয়াসিম আক্রম। হাতে বড় শট আছে। সেটা বাড়তি সাহায্য করতে পারে পাকিস্তানকে।
অ্যারন হার্ডি (অস্ট্রেলিয়া): মার্কাস স্টয়নিস আচমকা অবসর নেওয়ায় সুযোগ পেয়েছেন। আর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নজর কেড়েছেন। যেখানে গোটা দলই প্রায় ব্যর্থ, সেখানে ৩২ রানের পাশাপাশি ২টি উইকেটও তুলেছেন। হার্ডির উপর ক্রিকেট মহলের নজর প্রথম পড়ে ২০১৮ সালে। অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ দলের হয়ে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার উইকেট তুলেছিলেন। ২০২৩-এ সাদা বলে অভিষেক হলেও দলে জায়গা পাকা করতে পারেননি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই ছবিটা বদলাতে পারে।
নাহিদ রানা (বাংলাদেশ): চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ কত দূর যেতে পারবে, সেটা তো সময়ই বলবে। কিন্তু নজরে থাকবেন নাহিদ রানা। ২২ বছর বয়সি পেসার টাইগারদের জন্য এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন। ৩ ম্যাচে ৪টি উইকেট রয়েছে। অনায়াসে ১৪০-১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বল করতে পারেন।
উইল ও’রুরকে (নিউজিল্যান্ড): ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতা। বয়স মাত্র ২৩। ইতিমধ্যে ৯টি ওয়ানডে খেলে ফেললেও প্রথমবার আইসিসি টুর্নামেন্টে নামতে চলেছেন। ভারত হোক বা ইংল্যান্ড, তাঁর গতিতে টেস্টে ঝাঁঝরা হয়েছে দুই দলই। এবার যেখানে বেন সিয়ার্স নেই, সদ্য চোট সারিয়ে ফিরেছেন লকি ফার্গুসন। সেখানে নজর কাড়তে পারেন উইল ও’রুরকে।