সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা লিগের শেষ সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন দলের নাম এখনও ঘোষণা করা যায়নি। তা রয়েছে আদালতের বিচারাধীন অবস্থায়। তবে সে’সব নিয়ে ভাবছে না ইস্টবেঙ্গল। বরং শেষবারের চ্যাম্পিয়নের মতো মানসিকতা নিয়েই এবার লিগ অভিযান শুরু করতে চাইছে লাল-হলুদ শিবির।
শুক্রবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হবে মেসারার্স ক্লাবের। সুরচন্দ্র সিং, দীপেন্দু দোয়ারির মতো চেনা মুখ ছাড়াও গতবার জাতীয় পর্যায়ে খেলা একঝাঁক ফুটবলার রয়েছে এই ক্লাবে। তবে সেসব নিয়ে ভাবছে না লাল-হলুদ। বরং নিজেদের শক্তির উপরেই ভরসা রাখছেন ইস্টবেঙ্গলের রিজার্ভ দলের কোচ বিনো জর্জ। যাঁর সাফ কথা, ঘোষণা হোক বা না হোক ইস্টবেঙ্গলই লিগের ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন’। এবার লিগে তাই সেভাবেই অভিযান শুরু করতে হবে।
বৃহস্পতিবার প্র্যাকটিসের পর দেখা গিয়েছে, মাঠেই ফুটবলারদের মিনিট দশেক ক্লাস নিয়েছেন বিনো। সেখানেও বিষয়টি ভালোমতোই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে খবর। অবশ্য ঘরোয়া লিগে ছয় ভূমিপুত্রের নিয়ম চালু হওয়ায় বিশেষ খুশি নন বিনো। তবে আইএফএ-র নিয়ম মেনে চলার কথাই শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে।
লাল-হলুদের সবচেয়ে বড় শক্তি, আগের বছরের প্রায় পুরো দলটাই ধরে রাখা গিয়েছে। হীরা মণ্ডল, মহম্মদ মোশারফ ছাড়া তেমন কোনও বড় নাম দল ছাড়েননি। সেখানে তন্ময় দাস, আদিত্য পাত্র, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, মনতোষ চাকলাদার, চাকু মাণ্ডি, নসিব রহমান, জেসিন টিকে, আমন সিকে, মহম্মদ রোশাল, ভনলালপেকা গুইতে, কুশ ছেত্রীরা এবারও বড় ভরসা দলের। সঙ্গে যোগ হয়েছে মনতোষ মাঝি, সঞ্জয় ওরাওঁ, বিক্রম প্রধান, অ্যান্ড্রজ অ্যালবার্টের মতো ফুটবলাররা।
আজ কলকাতা লিগে মেসারার্স বনাম ইস্টবেঙ্গল
নৈহাটি, দুপুর ৩.০০ এসএসইএন অ্যাপ