সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশের ছোট্ট ভুল। তবে সেই ভুলের বিরাট খেসারত দিতে হচ্ছে ছত্তিশগড়ের যুবক আকাশ কৈলাস কানৌজিয়াকে। বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ভুল করে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বই পুলিশ। পরে অবশ্য ছেড়েও দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। গোটা দেশ তখন চিনে ফেলেছে তাঁকে। কোনও অপরাধ না করেই নামের পিছনে জুড়ে গিয়েছে ‘অপরাধী’ তকমা।
আকাশ নামের ওই যুবকের অভিযোগ, গ্রেপ্তারির কারণে সমাজে বিরাট বদনাম হয়েছে তাঁর। যে সংস্থায় চাকরি করতেন সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এমনকী যার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সেই বিয়ের প্রস্তাবও খারিজ হয়ে গিয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি মুম্বই থেকে ফেরার সময় রেল পুলিশ গ্রেপ্তার করে তাঁকে। ওই দিন হবু স্ত্রীর দেখা করতে যাচ্ছিলেন তিনি। আকাশ বলেন, ”পুলিশের ওই একটি ভুল আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে। সইফের বাড়ির সিসিটিভিতে যাকে দেখা গিয়েছিল সে যে আমি নই তা বুঝতে পুলিশের অনেক সময় লেগে যায়। ততক্ষণে সর্বত্র আমার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে। আমার সমস্ত সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আমি আমার কাজের জায়গায় ফোন করি। তবে তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় আমাকে কাজে নেওয়া হবে না। আমার ঠাকুমা আমায় জানায়, যার সঙ্গে আমার বিয়ের কথা চলছিল সেই পরিবার তাঁদের মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে রাজি নয়।” যুবকের ঠাকুমা জানান, এই ভুল গ্রেপ্তারির কারণে আকাশের যে ক্ষতি হয়েছে সরকারি উচিত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। অন্যদিকে, গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ আকাশ নিজেও। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ”আমি সব হারিয়েছি ওনার জন্য। ন্যায় চেয়ে মুম্বইয়ে সইফের বাড়ির সামনে ধরনায় বসব। যাতে আমার চাকরির ব্যবস্থা করা হয়।”
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি, বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে ছুরিকাহত হন সইফ আলি খান। অস্ত্রোপচার করা হয় অভিনেতার। বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সইফ। ভুল শুধরে এবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফুল নামে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, শরিফুলের কাছে এমন কিছু নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে যাতে স্পষ্ট সে বাংলাদেশের নাগরিক। শিলিগুড়ি সীমান্ত দিয়ে মাসছয়েক আগে বাংলায় অনুপ্রবেশ শরিফুলের।