চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, দিনহাটায় গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, দিনহাটায় গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


বিক্রম রায়, কোচবিহার: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক গৃহবধূর থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল আগেই। পরে সেই গৃহবধূকেই ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূলের বড় আটিয়াবাড়ি দু’নম্বর অঞ্চল সভাপতি আবদুল মান্নান মিয়া। ধৃতকে আজ মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়েছিল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটা এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বছর দুয়েক আগে আবদুল মান্নান পাঁচ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও চাকরিই দেওয়া হয়নি। টাকা ফেরতের জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল ওই নেতাকে। সেই অবস্থায় গত ১৪ মার্চ চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে বলে ওই মহিলাকে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেখানেই ওই তৃণমূল নেতা তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সেই মুহূর্তের কিছু ছবি জোর করে নিজের মোবাইলে তুলে ব্ল্যাকমেল করা হয়।

শুধু তাই নয়, মদ্যপান করতে জোর করা হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় মদের বোতল দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ওই মহিলার। পরে ওই মহিলা বাড়ি ফিরে আসেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই আবদুল মান্নান ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করে। যদিও সেসময় প্রভাব খাঁটিয়ে তিনি পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। আজ মঙ্গলবার ফের তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

এদিন ধৃতকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে একদিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ধৃত। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানা থেকে রাতে পালিয়ে যান তিনি। সেই মামলাও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, “পুলিশ যাতে আইন মেনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়, সেই বিষয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। দল কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না।” ওই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বুধবার একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় রাজনৈতিক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *