সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ প্রায় তীরে এসে তরী ডোবার মতো ঘটনা। চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং বিপজ্জনক দিক, দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পরও কাজ করতে পারল না নাসার ল্যান্ডার ‘এথেনা’। চন্দ্রপৃষ্ঠে তার ‘অকালমৃত্যু’ ঘটল! নাসার তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই খবর জানানো হয়েছে। কী কারণে এত প্রতিকূলতার মুখে পড়ল এথেনা, তাও জানিয়েছে মার্কিন মহকাশ গবেষণা সংস্থা। বলা হচ্ছে, চাঁদে পা রাখার পর কোনও কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠের গহ্বরে ঢুকে গিয়েছিল ল্যান্ডারের সম্মুখভাগ। ফলে শক্তিশূন্য হয়ে পড়ে কার্যক্ষমতা হারায় সে। যার জেরে অকালেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ল ল্যান্ডারটি।
চাঁদের এই দক্ষিণ মেরু নিয়ে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল দীর্ঘদিনের। এই জায়গা এতটাই রহস্যময় যে প্রায় কিছুই জানা যায় না তার সম্পর্কে। এই দক্ষিণ মেরুতেই আলো ফেলতেই ইসরোর তরফে পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রযান-২। তা অবশ্য সঠিকভাবে অবতরণ করে পারেনি। ফলে ব্যর্থ হয়েছে সেই মিশন। তবে চেষ্টার কসুর নেই। চন্দ্রযান-৩ এখন কাজ করছে সেখানে। নাসার তরফেও চাঁদের ওই অংশ সম্পর্কে তথ্য পেতে লাগাতার যান পাঠানো হচ্ছে। তারই একটা মিশন ইনটুইটিভ মেশিন-২ বা IM 2. এর অংশ হিসেবে ‘এথেনা’ ল্যান্ডার চাঁদের মাটি ছোঁয়। কিন্তু হিসেবের একচুল এদিক-ওদিকের জন্য নেমে আসে মহা বিপর্যয়।
Intuitive Machines Executes Southernmost Lunar Touchdown and Operates Payloads.
The complete launch is printed on the IM-2 mission webpage. https://t.co/6W5wibbV71
(7MAR2025 0829 CST)#AdLunam #IM2 #Athena pic.twitter.com/xDM3Fd9rE7— Intuitive Machines (@Int_Machines) March 7, 2025
নাসার পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ল্যান্ডারটি চাঁদের মন মাউন্টন অঞ্চল অর্থাৎ টার্গেট থেকে প্রায় ২৫০ মিটার দূরে অবতরণ করেছিল। কিন্তু এরপরই তা ক্রেটার বা চাঁদের গহ্বরে ঢুকে যায়। ল্যান্ডারের যে অংশে ব্যাটারি ছিল, সেই মাথা ঢুকে যায় গর্তে। ফলে একেবারে অন্ধকারে ডুবে যাওয়ায় সৌরলোক থেকে কোনও আলো পায়নি। সেইসঙ্গে এই এলাকায় প্রবল শৈত্য এবং প্রতিকূল আবহাওয়া। ফলে কোনওভাবেই নিজের শক্তি সংগ্রহ করতে পারেনি এথেনা। যার জেরে ধীরে ধীরে শক্তিশূন্য হয়ে পড়ে। এরপর আর কোনও কাজ তার দ্বারা সম্ভব হয়নি। তবে ‘মৃত্যু’র আগে পর্যন্ত এথেনা বেশ কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছে নাসার কন্ট্রোলরুমে। তাও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে নাসা। তবে এথেনার এহেন ব্যর্থতা চন্দ্রাভিযান নিয়ে মাথাব্যথা বাড়াল বলেই মনে করছে বিজ্ঞানীদের একাংশ।
📸🧵2/4: This picture sequence is from a separate public affairs digital camera and is made up of 240 photos taken over a mid-latitude area over a 10-minute span. Every picture is proven as 2 frames on this sequence. pic.twitter.com/Xwk59Ju8zZ
— Intuitive Machines (@Int_Machines) March 4, 2025
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন