ঘুম ঘুম ক্লাসরুম…পড়াশোনায় মন বসে না সন্তানের? এই ১০ কৌশলেই হবে বাজিমাত

ঘুম ঘুম ক্লাসরুম…পড়াশোনায় মন বসে না সন্তানের? এই ১০ কৌশলেই হবে বাজিমাত

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে প্যারেন্টিংয়ের ধারা বদলেছে। সন্তান জন্মাতে না জন্মাতেই শুরু হয় স্কুল নির্বাচন পর্ব। আর বছরদেড়েক বয়স হলেই হালফিলের প্লে স্কুলে যেতে শুরু করে খুদেরা। সেই সময় অবশ্য খেলার ছলে পড়াশোনা করানো হয় তাদের। একটু বড় হতে না হতেই শুরু হয় লেখা শেখানোর কাজ। দুরন্ত শিশুদের অধিকাংশ অধৈর্য হয়ে যায়। তার ফলে লিখতে, পড়তে চায় না তারা। মাথায় হাত অভিভাবকদের। তবে এই ১০ কৌশলেই নাকি হতে পারে বাজিমাত। পড়াশোনায় মন বসতে পারে খুদের।

* কোনও শিশুকে সঠিক পথে চালনা করার জন্য রুটিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই কখন কী করবে সে, তা ঠিক করতে প্রথমেই একটি রুটিন ঠিক করে নিন। সেই অনুযায়ী তাকে পরিচালনা করুন।
* শুধু সারাদিনের কাজকর্ম নয়। কবে কোন বিষয়টি পড়বে, সে রুটিনও তৈরি করে দিন। তাতে পরীক্ষার আগে শেষ মুহূর্তে পড়াশোনার চাপ পড়বে না।

Drawing

* বাচ্চাকে আলাদা ঘরে পড়াতে বসুন। যতটুকু সময় সে পড়বে সেই ঘরে কাউকে ঢুকতে দেবেন না। অন্যের কথাবার্তায় পড়াশোনায় ব্যাঘাত হতে হবে।
* খুদেদের ধৈর্য তুলনামূলক অনেক কম। তাই তারা একটানা বসে পড়াশোনা করতে পারে না। ফলে পড়াশোনায় ঘাটতি হয়। তাই সিলেবাসের ছোট ছোট ভাগ করুন। প্রতিদিন একটু একটু করে পড়ান। তাতে পড়া বেশি ভালো মুখস্থ হওয়া সম্ভব।

Kids* খুদেকে পড়তে বসিয়ে হাতে স্মার্টফোন নয়। তাতে তার মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই মোবাইল অন্য ঘরে রেখে দিন। যতটুকু সময় সে পড়বে, ততটুকু সময় তার পাশে থাকুন। তাকে পড়তে, লিখতে সাহায্য করুন।
* খুদেকে জোরে জোরে পড়তে শেখান। লেখার সময় প্রয়োজনে তাকে বলতে বলুন। তাতে ভুল কম হওয়ার সম্ভাবনা।
* একটানা পড়ানোর মাঝে ছোট ছোট বিরতি দিন। সে সময় তার পছন্দমতো কাজ করুক কিংবা একটু জিরিয়ে নিক। ৫০ মিনিট পড়ার পর ১০ মিনিটের ছোট্ট বিরতিতে পড়ার একঘেয়েমি কাটবে খুদে পড়ুয়া।

Drawing* ঘুমোতে যাওয়ার আগে সারা সন্ধেয় সে কী পড়ল, তা আরও একবার ঝালিয়ে নিন। তাতে কোনওদিন সে ওই পড়া ভুলবে না। মাত্র ৫-১০ মিনিটের এই কাজেই হতে পারে বাজিমাত।
* খেলাধূলা ধৈর্য বাড়াতে সাহায্য করে। মানসিক অবসাদ দূর হয়। তাই খুদেকে খেলতে পাঠান। তারপর পড়াশোনা করতে বসলে বইখাতার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
* বেশি মোবাইল ব্যবহারের ফলে মানসিক ক্লান্তি বাড়ে। তাই সন্তানকে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় বেঁধে দিন। তাতে বাচ্চার পড়াশোনায় মন বসবে। বাড়বে স্মৃতিশক্তিও।

Baby Smart Phone

পড়াশোনা নিয়ে সমস্যা হলে সন্তানকে মারধর করবেন না। সে পড়াশোনার প্রতি বিরক্ত হবে। ফলাফল আরও খারাপ হবে। তাই পড়াশোনার গুরুত্ব বোঝান। প্রয়োজনে ছোট কিছু উপহার দিতে পারেন। তাতে আখেরে লাভই হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *