ধীমান রায়, কাটোয়া: প্রতিবেশী যুবকের ঘরে রাতে ঘুমাতে যেত নাবালক। মদের ঘোরে সেই প্রতিবেশী যুবক ওই নাবালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিল বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নিজেকেও ওই যুবক অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করেন বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার নতুনগ্রামে। জখম ওই নাবালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে খবর। অভিযুক্ত যুবক বাবুলাল হেমব্রমকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের বাবা-মা দু’জনেই পরিযায়ী শ্রমিক। দাদুর সঙ্গেই ওই নাবালক থাকে। বাবুলাল হেমব্রম ওই এলাকারই বাসিন্দা। সেই সুবাদে ওই নাবালক ও তার দাদুর সঙ্গেও যুবকের ভালো পরিচয়। জানা গিয়েছে, প্রতি রাতে ওই নাবালক যুবকের সঙ্গে তার ঘরে ঘুমায়। গতকাল শনিবার রাতেও ওই নাবালক যুবকের ঘরে ঘুমাতে যায়। বাবুলাল লরির খালাসি হিসেবে কাজ করতেন। একটি দুর্ঘটনার পর পায়ে গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর বাড়িতে থাকেন তিনি। তাঁর মদ্যপানের অভ্যাস আছে বলেও অভিযোগ।
আজ রবিবার সকালে ওই নাবালক রক্তাক্ত অবস্থায় কোনওমতে নিজের বাড়ি ফিরে আসে! দাদুকে জানায়, ওই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার আঘাত করেছে। এরপরেই বাবুলালের খোঁজে অন্যান্যরা গিয়েছিলেন। কিছু দূর যেতেই দেখা যায়, রাস্তার মধ্যে পড়ে রয়েছেন বাবুলাল। তাঁর শরীরেও একাধিক আঘাতের ক্ষত রয়েছে। মদের ঘোরে ওই নাবালককে সে আঘাত করেছে। বাবুলাল নিজে এই কথা প্রতিবেশীদের কাছে স্বীকার করেছেন বলে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভাতার থানার পুলিশ। ওই নাবালকের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাবুলালও হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।