সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের দু’প্রান্তে দুটি আলাদা আলাদা বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। দুটি ঘটনাই মর্মান্তিক। দুটি ঘটনাতেই একাধিক প্রাণহানি এবং বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শুধু গুজরাটের বাজি কারখানায় মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করা হল। আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হল। বাংলার ঘটনার উল্লেখ পর্যন্ত করা হল না। সেটা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।
মঙ্গলবার সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক্স হ্যান্ডেলে নরেন্দ্র মোদির শোকবার্তা পোস্ট করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তায় বলেন, ‘গুজরাটের বনাশকাঁটায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। যারা নিকটাত্মীয়দের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। স্থানীয় প্রশাসন আহত এবং যারা এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের পাশে রয়েছে।’ একই সঙ্গে ওই পোস্টেই ঘোষণা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে। আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে। মোদির ওই শোকবার্তায় পাথরপ্রতিমার ঘটনার উল্লেখ পর্যন্ত নেই।
Deeply saddened by the lack of lives within the explosion at a firecracker manufacturing facility in Banaskantha, Gujarat. Condolences to those that misplaced their family members. Could the injured recuperate quickly. The native administration is aiding these affected.
An ex-gratia of Rs. 2 lakh from PMNRF would…
— PMO India (@PMOIndia) April 1, 2025
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের বক্তব্য, একই ধরনের ঘটনা। একই কারণে ঘটা দুর্ঘটনা। দুটোই ভয়াবহ। অথচ একটা ঘটনায় আর্থিক সাহায্য, আর একটি ঘটনার উল্লেখ পর্যন্ত নেই! কেন এই বৈষম্য? তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় লিখছেন, ‘পক্ষপাতদুষ্ট প্রধানমন্ত্রী। গুজরাটে বাজি কারখানায় হতাহতদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরদভরা টুইট ও ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ। বাংলার বাজি কারখানা দুর্ঘটনায় হতাহতদের কোনো উল্লেখ নেই। এই বিজেপি বাংলাবিরোধী। এই কারণেই এদের ‘বহিরাগত’ বলা হয়।’
উল্লেখ্য, পাথরপ্রতিমার বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাজি কারখানার মালিক চন্দ্রকান্ত বণিক। অন্যদিকে গুজরাটের বনাসকাঁটায় দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ওই ঘটনায় তদন্তে এখনও তেমন অগ্রগতি নেই। কিন্তু বহু প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।