গলস্টোন থাকলে সেটা যদি দীর্ঘদিন অপারেশন না করে ফেলে রাখেন, হতে পারে ক্যানসারও! এটা জেনে বুঝেও অনেকেই সার্জারির সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পান। এখন আধুনিক পদ্ধতিতে আরও সূক্ষ্মভাবে পাথর বের করা সম্ভব, আলোচনায় সার্জন ডা. সুমন্ত্র রায়।
অতিপরিচিত অসুখ গলস্টোন। যে কোনও বয়সে, যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এত পরিচিত অসুখ সম্পর্কে জানার পরও গলস্টোন নিয়ে কিন্তু অবহেলা কম নয়। আর তাতেই ছোট এই সমস্যা পাকিয়ে জটিলতার আকার নেয়।
কাদের ঝুঁকি বেশি?
যে কেউ, যে কোনও বয়সে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে সাধারণত মধ্যবয়স্ক মহিলা, গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে সমস্যা বেশি দেখা যায়। স্থূল বা মোটা(overweight) যাঁরা, হঠাৎ করে ওজন কমিয়েছেন যাঁরা, ডায়াবেটিক রোগীদের ঝুঁকি বেশি।
উপসর্গ কী?
পেটের উপরের দিকে ডান দিকের অংশ ভারী ভারী লাগা বা ব্যথা হওয়া। ব্যথা অনেক সময় ডান কাঁধের দিকে চলে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবার পর এবং মূলত ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে সেই ব্যথা বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া খাবার হজমের সমস্যা, বমি বমি ভাব গলস্টোন থেকে হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে গলস্টোন সাইলেন্ট থাকতে পারে অনেক দিন পর্যন্ত। দেখা যায় গলস্টোন থেকে উদ্ভূত কমপ্লিকেশন নিয়ে অনেক সময় রোগী আসেন। তারপর জানতে পারেন কারণটি।
কী কী জটিলতা দেখা দেয়?
গলব্লাডারে স্টোন থাকার জন্য পিত্তথলিতে ইনফেকশন হতে পারে, যাকে অ্যাকিউট কোলেসিসটাইটিস বলা হয়ে থাকে এবং এই সময় তীব্র ব্যথা, বমি, জ্বর হতে পারে। পিত্তথলি থেকে পাথর পিত্তনালিতে নেমে এলে তা পিত্তনালিতে পিত্তরস তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। যা থেকে জন্ডিস হতে পারে। অনেক সময় পিত্তথলিতে ছোট ছোট পাথর বা বালির মতো জিনিস পিত্তনালি দিয়ে নেমে এলে প্যানক্রিয়াটাইটিস করতে পারে। গলব্লাডারে দীর্ঘ দিন ধরে স্টোন থাকলে অনেক সময়ে গলব্লাডার ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
কীভাবে করবেন চিকিৎসা?
গলস্টোনের একমাত্র চিকিৎসা হল অপারেশন। গলস্টোন সার্জারি মানে হল পাথর-সহ গলব্লাডার কেটে বাদ দেওয়া। ল্যাপারোস্কপিক কোলেসিস্টেকটমি পদ্ধতি হল, বর্তমান সময়ে শ্রেষ্ঠ (gold customary) অপারেশন। এটি একটি মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারি বা মাইক্রো সার্জারি। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে নবতম সংযোজন হল রোবোটিক কোলেসিস্টেকটমি। এতে আরও সূক্ষ্মভাবে অপারেশন করা সম্ভব।
পরামর্শ: 9432926170
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন