সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের নির্দেশের পরও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়নি সরকার। এই অভিযোগে হাইওয়ের উপর দেওয়াল তুলে দিলেন কৃষক। যার জেরে রাস্তা ছেড়ে মাঠে নামতে হল যানবাহনকে। অদ্ভুত এই ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র এলাকার ৬ নম্বর রাজ্য সড়কে। কৃষকের এহেন কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত ১৯৮৭ সালে। অমৃতসরি ফার্ম এলাকার বাসিন্দা বলবিন্দর সিংয়ের জমি অধিগ্রহণ করে সড়ক নির্মাণ করে সরকার। যদিও তার প্রেক্ষিতে ওই কৃষককে কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। ঘটনায় ২০০৬ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন কৃষক। ২০১৮ সালে মামলায় জয়লাভ করেন তিনি। পালটা হাই কোর্টে যায় পিডব্লুডি। ২০২৩ সালে সেখানেও কৃষকের পক্ষে যায় রায়। সরকার সেশন কোর্টে গেলে সেখানে মামলা গৃহীত হয়নি। অভিযোগ, এরপরও কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া তো দূর উলটে নতুন করে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে সরকার পক্ষ। এই ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ কৃষক নিজের জমির দখল নিতে অভিনব পদক্ষেপ করেন।
তাঁর যে জমির উপর সরকার রাস্তা তৈরি করেছে সেখানে ইট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে পাকাপাকিভাবে দেওয়াল তুলে দেন। ওই রাস্তায় আসা যানবাহনগুলিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই জমি তাঁর। ফলে রাস্তার উপর দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। যেতে হলে মাঠ দিয়ে যেতে হবে গাড়িকে। অগত্যা বাধ্য হয়েই রাস্তা ছেড়ে মাঠের উপর দিয়ে শুরু হয় যাতায়াত। ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশ। ২ থেকে ৩ জনকে আটক করার পাশাপাশি রাস্তার উপর তৈরি হওয়া দেওয়াল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত কৃষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে ওই কৃষকের অভিযোগ প্রসঙ্গে পিডব্লুডি-এর তরফে জানানো হয়েছে, কৃষকের অভিযোগ অনেক পুরনো। জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের দেওয়ার সময় এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। ওই কৃষককে ৫.৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। তবে উনি ওই টাকায় সন্তুষ্ট নন। আদালত ক্ষতিপূরণের টাকা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকারের তরফেও মামলা পুনর্বিচারের জন্য আবেদন জানানো হয়। আদালতের সর্বশেষ নির্দেশ মেনে ওনাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু এভাবে রাস্তা বন্ধ করা একেবারেই উচিত নয়।