সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ আইপিএল ফাইনাল। বহু বছর পর নতুন চ্যাম্পিয়ন পেতে চলেছে আইপিএল। যে ফাইনালে শুধু পাঞ্জাব কিংস আর আরসিবি যুযুধান হবে না, লড়াই হবে দুই টিমের দুই অধিনায়কের মগজাস্ত্রেরও। সেই যুদ্ধে কোন অধিনয়াক এগিয়ে? খেতাবি যুদ্ধের আগে রইল চুলচেরা বিশ্লেষণ।
অষ্টাদশ আইপিএল শুরুর আগে রজত পাতিদারের হাতে আরসিবি অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড তুলে দেওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। কারণ, এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে শুধু মধ্যপ্রদেশের অধিনায়কত্ব করেছেন রজত। তাই তাঁর পক্ষে আরসিবির মতো তীব্র জনপ্রিয় আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি ম্যানেজ করা সম্ভব হবে কি না, কেউ নিশ্চিত ছিলেন না। রজত শুধু সেটা ভালো ভাবে ম্যানেজ করেননি। প্রথম বার অধিনায়কত্ব করতে নেমেই টিমকে ফাইনালে তুলে দিয়েছেন। মাঝে আঙুলে চোট পাওয়ায় ফর্মে টান পড়েছে ইদানিং। সমস্ত ম্যাচ খেলতেও পারেননি। কিন্তু তাঁর ফিল্ড প্লেসিং, চাপের মুখে শান্ত থাকার ক্ষমতা, বোলিং চেঞ্জ, সবই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা পেয়েছে। আরসিবি টিম মেন্টর দীনেশ কার্তিক বলে দিয়েছেন যে, রজতকে দেখে তিনি মুগ্ধ। কারণ, তিনি নেতৃত্ব পাওয়ার আগে যেমন ছিলেন, নেতা হওয়ার পরেও তাই। আরসিবি-র শ্রেষ্ঠ সম্পদ কোহলিই। তিনিই পাঞ্জাবের প্রথম কাপ জয়ের এক নম্বর বাধা। কিন্তু ক্যাপ্টেন রজতও যথেষ্ট কঠিন প্রতিপক্ষ হতে পারেন।
অন্যদিকে, পাঞ্জাব কিংস সংসারে শ্রেয়স আইয়ারের একটা ডাকনাম হয়েছে-‘সরপঞ্চ’। সচরাচর গ্রাম প্রধানকে ‘সরপঞ্চ’ নামে ডাকা হয়ে থাকে ভারতে। আসলে নেতা হিসেবে শ্রেয়স অসম্ভব ডাকাবুকো। সব সময় টিমের সামনে উদাহরণ পেশ করতে পছন্দ করেন। ক্রিকেটে যাকে বলে ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যেমন। মুম্বইয়ে দেওয়া ২০৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে একটা সময় পরপর গোটা কয়েক উইকেট হারিয়েছিল পাঞ্জাব। কিন্তু তার পর শ্রেয়স একা ৮৭ অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। টিমকে তুলে দেন ফাইনালে। কোনও সন্দেহ নেই, মঙ্গলবার আইপিএল ফাইনালে অধিনায়ক শ্রেয়সই সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ হতে চলেছেন আরসিবির। তা ছাড়া একই সঙ্গে তিনি তুখোড় স্ট্র্যাটেজিস্টও বটে। চাপের পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে জানেন।
তবে আইপিএল ফাইনালে সবকিছু ছাপিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে স্নায়ুর চাপ সামলানোর দক্ষতা। অধিনায়ক শ্রেয়স ইতিমধ্যেই দু’টো আইপিএল ফাইনাল খেলে ফেলেছেন। জিতেছেন একবার। অন্যদিকে, আরসিবির মতো বিশাল ফ্যানবেসের চাপ সামলে দলকে ঠাণ্ডা মাথায় নেতৃত্ব দিয়েছেন রজত। খেতাবি যুদ্ধেও কি একই রকম শান্ত থাকতে পারবেন তিনি? মঙ্গলবার শেষ হাসি হাসবেন কোন অধিনায়ক?