‘ক্যাপসুল বা হোমিওপ্যাথি বা অপারেশন…’,ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে বিজেপি মোকাবিলায় কী বললেন উদয়ন?

‘ক্যাপসুল বা হোমিওপ্যাথি বা অপারেশন…’,ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে বিজেপি মোকাবিলায় কী বললেন উদয়ন?

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


বিক্রম রায়, কোচবিহার: আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অসম সংলগ্ন এলাকায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির মতো জেলায় বিজেপি পেশিশক্তির প্রয়োগও হতে পারে, এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দলীয় কর্মীদের সাবধান করলেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। সেদিকে তৃণমূল কর্মীদের নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

সোমবার সোমবার তৃণমূলের বর্ধিত কমিটির ভুয়া ভোটার সংক্রান্ত বৈঠকে উদয়ন ও তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা ভুয়া ভোটারের সন্ধানে রীতিমতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর এবং প্রতিটি এপিক কার্ডের নম্বর মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দেন দলের ব্লক এবং অঞ্চলের স্তরের নেতাদের। বৈঠকে মন্ত্রী উদয়ন বলেন, “অসম লাগোয়া জেলাগুলিতে অসমের বিজেপি নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে টাকা এবং পেশিশক্তি ব্যবহার করে তৃণমূলের উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করবে বিজেপি। তারা যাতে সেটা না করতে পারে সেজন্য আগাম সর্তক থেকে প্রয়োজনে ক্যাপসুল, কখনও বা হোমিওপ্যাথি, কখনও অপারেশন, যেখানে যেটা প্রয়োজন সেটাই করা হবে।”

বৈঠকে যোগ দেননি কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় ও তাঁর অনুগামীরা। স্বাভাবিকভাবে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব যে এখনও মেটেনি, তা এদিনের বৈঠকে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর সেই বৈঠক থেকে কার্যত বৈঠকে গরহাজির নেতাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দেন উদয়ন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “এদিনের মিটিংয়ে যাঁদের আসার কথা ছিল, তাঁদের অনেকেই আসেননি। জেলা সভাপতিকে বলব আরও কঠোর হতে হবে। অনেকেই নেতানেত্রী হয়ে রয়েছেন, অথচ নিজের বুথে বা অঞ্চলে কোনও কাজ করেন না। তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।” যদিও রবি-পার্থ জুটি অনুপস্থিত থাকার প্রসঙ্গে উদয়ন বলেন, শুধু ওঁরাই নন, জেলা সভাপতি যে হিসাব দিয়েছেন, তাতে ১২৮ জন অঞ্চল সভাপতির মধ্যে ১০৫ জন উপস্থিত ছিলেন। যারা অনুপস্থিত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা জেলা সভাপতি দেখবেন।

যদিও অনুপস্থিত থাকার প্রসঙ্গে কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, অন্য একটি কাজে ব্যস্ততার কারণে তিনি যেতে পারেননি। তবে উদয়ন গুহ কী বলেছেন, তাতে কিছু যায় আসে না। যদিও উদয়নের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, “তৃণমূল এবং বিশেষভাবে উদয়নবাবুর কাছ থেকে সাধারণ মানুষ সরে যাচ্ছে। তাই এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে তিনি কর্মীদের মনোবল বাড়াতে চাইছেন তাতে কোনও লাভ হবে না।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *