বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: প্রাক্তন কুটনীতিক লক্ষ্মী পুরীর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ করে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশানুসারে তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হত। ২০২১ সালে এই প্রাক্তন কূনীতিক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডে সম্পত্তি কেনার অভিযোগ করেন সাকেত। এরপরই সাকেতের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মানহানির মামলা করেন লক্ষ্মী পুরী।
চার বছর আগে লক্ষ্মী পুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আয় বর্হিভূত সম্পত্তির অভিযাগ করেন সাকেত গোখলে। তিনি ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এর পরেই সাকেতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন তিনি। সেই মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট তৃণমূলের রাজ্যসভার এই সাংসদকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ থেকে রেহাই পাবেন বলে নির্দেশ দেয় আদালত।
মঙ্গলবার সাকেত তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আমি এই অভিযোগ করার জন্য লক্ষ্মী পুরীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। ২১ সালের ১৩ ও ২৩ জুন আমি যে পোস্ট করেছিলাম লক্ষ্মী পুরীর বিরুদ্ধে, তা ভুল ছিল। অভিযোগের সত্যতা যাচাই না করেই এই পোস্ট করেছিলাম। এর জন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করছি।
গত বছর মামলার শুনানির সময় দিল্লি হাই কোর্ট মন্তব্য করে, এই ধরনের পোস্ট সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন। আসলে যিনি পোস্ট করেছিলেন তাঁর উদ্দেশ ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে আক্রমণ করা। কোনও সত্যতা যাচাই না করে অভিযুক্ত অবমাননাকর বিষয় নিয়ে পোস্ট করেন। এই ঘটনার জন্য সাকেত গোখলেকে নিশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট।