সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছরের শেষে বিহারে বিধানসভা ভোট। কিন্তু তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিয়ে ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ভোটের মুখে তিনি নাকি আরও একবার শিবির বদল করতে চলেছেন। এই জল্পনার সূত্রপাত মাস খানেক আগে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের এক মন্তব্যে। লালু বলেন, “বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার দরজা নীতিশের জন্য খোলা রয়েছে।” কানাঘুঁষো শোনা যায়, লালুর এই মন্তব্যের পরই নাকি আরজেডি নেতারা নীতীশকে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে শামিল হওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। এই আবহে নীতীশকে ‘পাল্টিবাজ’ এবং ‘কুর্সিপ্রেমী’ বলে তোপ দাগলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
রবিবার বক্সারের একটি জনসভা থেকে নীতীশকে বেনজির আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, “মাঝে মাঝে নীতীশ আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে লাফিয়ে ওঠেন। কিন্তু যখন তিনি নিশ্চিত হন বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা বেশি, তখন তিনি আবার তাদের কোলে ঝাঁপিয়ে পড়েন।” আসন্ন নির্বাচনে বিহারে বিজেপি-জেডিইউর জোট বেঁধে লড়ার কথা। সেই জোট নিয়েও কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে খাড়গের গলায়। তাঁর দাবি, নীতীশ-বিজেপি একসঙ্গে হওয়ার অর্থ হল একটি ‘সুবিধাবাদী’ জোট। রাজ্যের মানুষের জন্য ভালো নয়। নীতীশ কেবল ‘কুর্সি’ (মুখ্যমন্ত্রী পদ) পাওয়ার জন্য দল পরিবর্তন করেন। এখানেই না থেমে, জেডিইউ প্রধান মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারীদের আদর্শের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন খাড়গে।
নীতীশের পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর প্রশ্ন, “২০১৫ সালে মোদি বিহারের জন্য ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল?”
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার শিবির পরিবর্তন করেছেন নীতীশ। নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর নীতীশ দাবি করেছিলেন, আর দল পরিবর্তন করবেন না। এদিকে নীতীশ এবার বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ আদৌ হবেন কিনা , তা নিয়ে শুরু হয়েছে আরও একপ্রস্থ জল্পনা। গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতার মন্তব্য সেই চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। এই আবহে নীতীশ কি বিজেপির সঙ্গেই থাকবেন? নাকি ফের একবার দল বদলাবেন? সেটাই এখন বিহারের রাজনীতিতে বড় প্রশ্ন।