কসবা কাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য কল্যাণ-মদনের, ‘ব্য়ক্তিগত মত’, বলল তৃণমূল

কসবা কাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য কল্যাণ-মদনের, ‘ব্য়ক্তিগত মত’, বলল তৃণমূল

রাজ্য/STATE
Spread the love


ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কসবা কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে বিপাকে তৃণমূলের দুই জনপ্রতিনিধি! সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ত মদন মিত্রের মন্তব্য তাঁদের একান্ত ‘ব্যক্তিগত’ বলে স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল। দুই নেতার মন্তব্যেরই কড়া নিন্দা করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি দোষীদের কড়া শাস্তির দাবিও জানিয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নির্যাতিতা দাবি করেন, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল গার্ড রুমে। অভিযোগ, তিনি সেখানে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন তিনজন। গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।



এই ঘটনা প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “একজন ছাত্রীকে যদি তার সহপাঠীরা রেপ করে থেকে দুঃখের খবর আর কি হতে পারে।” এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেই রেশ কাটার আগেই শনিবার ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর কথায়, “কসবার এই ঘটনায় মেয়েদের কাছে, পড়ুয়াদের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। যদি চেনা-পরিচিত কেউ ডাকে, যেদিন কলেজ বন্ধ, পরীক্ষা চলছে, ইউনিটের কিছু বানিয়ে দেবে, যেও না, ভালো হবে না। মেয়েটি ওখানে না গেলে এই ঘটনা ঘটত না। যদি যাওয়ার সময় কাউকে বলে যেত, ২ জন বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে যেত, তাহলে এই ঘটনা ঘটত না। যে এই নোংরা কাজ করেছে, সে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে।” তবে দোষীর কড়ার শাস্তির পক্ষে সওয়াল করে মদন মিত্র বলেন, “আমাদের পার্টি এমন কাজকে কখনও রেয়াত করবে না।” স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি ঘিরে শোরগোল শুরু হয়।

এই প্রেক্ষিতে দুই নেতার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। বিবৃতি জারি করে তারা বলে, ‘সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।’ একইসঙ্গে তাদের দাবি, ‘আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—মহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’ সবমিলিয়ে দুই নেতার মন্তব্যের সঙ্গেই দূরত্ব বাড়াল তৃণমূল।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *