সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্রুত সেরে উঠছেন অভিনেতা সইফ আলি খান। লীলাবতী হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সম্ভবত তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। আততায়ী হামলা সংক্রান্ত ঘটনায় সোমবার হাসপাতালে গিয়ে অভিনেতার বয়ান রেকর্ড করতে পারে পুলিশ।
গত ১৬ জানুয়ারি, নিজের বাড়িতেই দুষ্কৃতীর ছুরির ঘায়ে জখম হন অভিনেতা। তাঁকে কমপক্ষে ৬ বার ছুরিকাঘাত করে আততায়ী। ওই রাতে তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। টানা ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। চিকিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচার সফল। শিরদাঁড়ার কাছে ঢুকে যাওয়া ছুরির ভাঙা অংশ নিরাপদে বের করা সম্ভব হয়েছে। অল্পের জন্য শিরদাঁড়া বড়সড় ক্ষতির রক্ষা পেয়েছে। চিকিৎসকরা অভিনেতাকে বাঘের সঙ্গে তুলনাও করেন। মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন অভিনেতা। তবে আপাতত বিশ্রামে থাকতে হবে তাঁকে।
সইফের উপর হামলার ঘটনায় রবিবার অভিযুক্ত মহম্মদ সরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা খবর পান, ‘ছোটো নবাবে’র বান্দ্রার বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে থানের হীরানন্দানি এস্টেটের কাসারভাদাভালিতে রয়েছে মহম্মদ সরিফুল ইসলাম শেহজাদ। একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে জানা যায় জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছে। তড়িঘড়ি অন্তত ১০০ জন পুলশকর্মী সেখানে পৌঁছয়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে প্রায় ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানো হয়। তারপর গ্রেপ্তার হয় আততায়ী। রবিবারই তাকে মুম্বই আদালতে পেশ করা হয়। আপাতত ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত।
তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত আততায়ী ভারতীয় নয়। আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা বেশ কিছু নথিপত্র কমপক্ষে তেমনই ইঙ্গিত করে। জানা গিয়েছে, ৪-৫ মাস আগে নিজেকে বিজয় দাস নামে পরিচয় দিয়ে মুম্বইতে থাকতে শুরু করে অভিযোগ। যদিও ধৃতের আইনজীবীর দাবি, সে বাংলাদেশি নয়। এই দেশেরই নাগরিক। বহু বছর ধরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মুম্বইতে থাকে সে। তবে কোন উদ্দেশ্যে অভিনেতার উপর হামলা চালাল ধৃত, তা স্পষ্ট নয়।