সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধুই জীবনসঙ্গী নাকি ফুটবল মাঠেরও সঙ্গী? মরশুমের শুরুটা ভালো হয়নি। রক্ষণের দুর্দশার সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে মোহনবাগানের অধিনায়ক শুভাশিস বোসকে নিয়েও। সেদিন স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে উত্তর দিয়েছিলেন কস্তুরী ছেত্রী। আর মোহনবাগান যখন রোববার ভারতসেরা হল, তখন তিনি নেমে এলেন মাঠে। চুম্বন বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দুজনে। আসলে ভালোবাসার বিশ্বাসে দুজনেই পেলেন একে-অপরের পাশে থাকার প্রতিদানও।
যুবভারতীতে ওড়িশা এফসি-কে ১-০ গোলে হারিয়ে লিগ শিল্ড জিতল মোহনবাগান। ৯৩ মিনিটে গোল করেন দিমি পেত্রাতোস। যুদ্ধজয়ের পর তৃপ্তি ও গর্বের হাসি অধিনায়ক শুভাশিসের মুখে। কেনই বা হবে না? ১৪টা ক্লিনশিট, তাঁর নিজের নামেও ৬টি গোল। ম্যাচের পর মাঠে নেমে এলেন কস্তুরী। ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা জার্সি পরে কস্তুরীকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। তারপর ঠোঁটে ঠোঁট। আর সবশেষে সবুজ-মেরুন পতাকা নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়ালেন দম্পতি।
একদিকে যেমন তিনি প্রেমিক, আরেকদিকে লড়াকু নেতা। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া গেল অধিনায়ক শুভাশিসকে। একপাশে পাশে দাঁড়িয়ে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। অন্যদিকে পেত্রাতোস, ম্যাকলারেন। সেখানে দাঁড়িয়ে সবুজ-মেরুনের অধিনায়ক বললেন, “মোহনবাগান জেতার জন্য খেলে। মরশুমের শুরু থেকে ম্যানেজমেন্টের মানসিকতা ছিল, ট্রফি জিততে হবে। নতুন প্লেয়ারদের মধ্যেও সেটা ছড়িয়ে পড়ে। আমরা যে পরিশ্রম করেছি, সেটার ফল পেলাম। আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। পরের লক্ষ্য আইএসএল কাপ জেতা। সমর্থকদের সামনে জিতব বলেই নেমেছিলাম। বিশ্বাস ছিল যে, ম্যাচ জিতবই। আমরা আজ ইতিহাস তৈরি করলাম।”
View this publish on Instagram