কংগ্রেস ‘কোণঠাসা’, শশী থারুরের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিল সিপিএম

কংগ্রেস ‘কোণঠাসা’, শশী থারুরের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিল সিপিএম

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের রাজনীতিতে আপনাকে ‘অনাথ’ হতে হবে না। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে একপ্রকার খোলাখুলি দলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন কেরলের সিপিএম নেতা থমাস আইজ্যাক। তিনি স্পষ্টই বলছেন, থারুরকে দলে নিতে সিপিএমের কোনও অসুবিধা হবে না। অতীতেও বহু কংগ্রেস নেতা সিপিএমে যোগ দিয়েছেন।

কেরল সিপিএমের ওই শীর্ষ নেতা বলছেন, “শশী থারুর আগে নিজের অবস্থানটা স্পষ্ট করে দিক। তবে শশীকে দলে নিতে সিপিএমের বিশেষ কোনও বাধা নেই। অতীতে বহু কংগ্রেস নেতা সিপিএমে যোগ দিয়েছেন।” থমাস আইজ্যাক বলছে, “থারুর যে এতদিন কংগ্রেসে পড়ে রয়েছেন সেটাই মিরাক্যাল।”

এই মুহূর্তে কেরলের কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে সঙ্গে রীতিমতো বাদানুবাদ চলছে শশী থারুরের। আসলে শশী মনে করছেন, এই মুহূর্তে কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে। সেকারণেই শেষদফায় বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করা যায়নি। এমনকী শশীর এও দাবি, যে তিনিই কেরলে কংগ্রেসের জনপ্রিয়তম নেতা। কংগ্রেসি ভাবধারার বাইরের বহু মানুষের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আছে। যা নিয়ে কেরল কংগ্রেসে রীতিমতো টানাপড়েন শুরু হয়। এর মধ্যে আবার শশী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফর এবং কেরলের বাম সরকারের শিল্প নীতির প্রশংসা করেন। সব মিলিয়ে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব যে বেড়েছে সেটা স্পষ্ট। দিন কয়েক আগে খোদ রাহুল গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাতেও শশীর অভিমান বিশেষ মেটানো যায়নি।

দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্যে বলেছেন, “যেখানে অজ্ঞতা সুখ, সেখানে জ্ঞানী হওয়া বোকামি। তিরুবন্তপুরম থেকে চতুর্থবার সাংসদ হিসেবে আমায় বেছে নিয়েছেন মানুষ। যার অর্থ এটাই দেশের উন্নতি ও স্বতন্ত্রভাবে আমার বিচারধারা প্রকাশ করার সাহসিকতা মানুষ পছন্দ করেন। দলে আমার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে কংগ্রেস যদি মনে করে আমার পরিষেবা দলের প্রয়োজন নেই তাহলে আমার কাছে অন্য বিকল্প রয়েছে।” শশীর ওই মন্তব্যে তাঁর কংগ্রেস ত্যাগের জল্পনা আরও বাড়ে। এবার একপ্রকার খোলাখুলিই তাঁকে দলে আহ্বান করল সিপিএম।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *