সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের বিতর্কিত ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে লাঞ্চ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই খোঁচা কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, যেভাবে পাকিস্তান ৯/১১-র মূলচক্রী ওসামা বিন লাদেনকে লুকিয়ে রেখেছিল সেটা যেন আমেরিকাবাসী ভুলে না যান।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”পাক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কয়েকজন সেনেটর ও কংগ্রেসম্যান সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু আমেরিকার মানুষদের তো এত তাড়াতাড়ি ওসামা এপিসোড এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়া উচিত নয়! লোকটার সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত বোঝাই যায়নি পাকিস্তান তাকে লুকিয়ে রেখেছে এক সেনা শিবিরের কাছে… এটা আমেরিকানদের সহজে ভোলা উচিত নয়।”
#WATCH | Thiruvananthapuram, Kerala | On US President Donald Trump’s lunch assembly with Pakistan Military Chief Asim Munir, Congress MP Shashi Tharoor says, “I hope the meals was good and he will get some meals for thought within the course of. I hope that in these interactions, the Individuals… pic.twitter.com/QJn6BHEjoY
— ANI (@ANI) June 19, 2025
সেই সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য জঙ্গি হামলার জন্য যে দায়ী তাকে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছিল পাকিস্তান, সমর্থন করেছিল ভারতে জঙ্গি হামলা, সেটা ভুলে গিয়ে ‘দ্বিচারী’ পাক সরকারকে বিশ্বাসই করা উচিত নয় হোয়াইট হাউসের। এরই পাশাপাশি শশী আশাপ্রকাশ করেছেন ট্রাম্প নিশ্চয়ই পাক সেনাপ্রধানকে সতর্ক করে দিয়েছেন যাতে পাকিস্তান আর নিজের দেশে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ, আর্থিক মদত না দেয়।
রবিবার পাঁচদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। আমেরিকার সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি, এমন একটা গুঞ্জন ছিল। সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছে হোয়াইট হাউস। পাক সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়, মুনিরের এই সফর একান্তই কূটনৈতিক সফর। এদিকে মুনিরের আমেরিকা আসার খবর পেয়ে রবিবার ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূতাবাসের সামনে ভিড় জমান পাক নাগরিকরা। সেখানে বর্তমান পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। রীতিমতো চিৎকার করে তাঁরা বলতে থাকেন, ‘কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন? ওই কসাইকে বাইরে বের করুন।’ এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প ও মুনির একসঙ্গে লাঞ্চ করেছেন বুধবার। আর তারপরই আসিম মুনিরের সুখ্যাতি করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলে দিয়েছেন, মুনিরের সঙ্গে বৈঠকে বসে তিনি ‘সম্মানিত’। তবে ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থানে কিছুটা বদল দেখা গিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই প্রথমবার যুদ্ধবিরতির ‘কৃতিত্ব’ নিজে না দাবি করে সেটা দুই দেশকে দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন