বিক্রম রায়, কোচবিহার: আবারও ওড়িশায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে হেনস্তার অভিযোগ। কেড়ে নেওয়া হয় সব পরিচয়পত্রও। বিজেপি নেতাদের সব ফোন করে সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে ‘দিদি কে বলো’তে ফোন করে বাড়ি ফিরলেন কোচবিহারের বাসিন্দা।
পরিযায়ী শ্রমিকের নাম মিঠুন বর্মন। তিনি ছোট শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। পড়শি রাজ্য ওড়িশায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর অভিযোগ, বাংলা ভাষায় কথা বলার ‘অপরাধে’ ওড়িশা পুলিশ তাঁকে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভোটার-আধার কার্ড দেখানো হলেও পুলিশ তা মান্যতা দেয়নি বলেই অভিযোগ। তাঁর কথায়, “আমি ওড়িশায় কর্মরত ছিলাম। ২৯ জুলাই, বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে অফিসের আবাসন থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ৮-৯ ঘণ্টা আটকে রাখে। মোবাইল ও ১০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছে। নির্যাতন চালায় আমার উপর। আমি সব পরিচয়পত্র দেখানোর পরও ছাড়েনি। সেগুলিকে ভুয়ো বলছিল ওরা। তিনি আরও বলেন, “বিপদে পড়ে আমাদের এলাকার বিজেপি নেতাদের ফোন করি। ওরা কেউই সাহায্য করেনি। পরে ‘দিদি কে বলো’-তে ফোন করি। ওরা আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে।”
কোচবিহারের এক তৃণমূল নেতা বলেন,” বাংলা বলার অপরাধে মিঠুনকে ধরে নিয়ে যায় ওড়িশা পুলিশ। সমস্ত ডকুমেন্ট কেড়ে নিয়েছে। ‘দিদি কে বলো’-তে ফোন করার পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্যে ও বাড়িতে ফিরে আসে। বিজেপির যারা বলেন বাইরে বাংলার কেউ হেনস্তার শিকার নন, তারা মিঠুনকে দেখুন। মিঠুন নিশীথ প্রামাণিক-সহ একাধিক বিজেপি নেতাকে ফোন করেছিলেন। কেউ সাহায্য করেনি।” বিজেপি কোনও নেতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষা কথা বলায় বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠছে। যার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক দিয়েছেন ভাষা আন্দোলনের। তবে বিজেপির দাবি, বাঙালি কোনও শ্রমিক হেনস্তার শিকার নন।