সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজো মানেই বাঙালির প্রাণখোলা আনন্দ। সেরা উৎসবে গা ভাসাতে কুণ্ঠা করছেন, এমন বাঙালি খুব কম। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটা মানেই এখন ‘প্যান্ডেল হপিং’য়ের দিন গোনা। কলকাতা, জেলার সেরা পুজোমণ্ডপ না দেখলে তো শারদোৎসব বৃথা! আর সেই টানে দিনরাত মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাসা ভিড়। পুজোয় কোন মণ্ডপে কোন দিন কতটা ভিড় হল, তার প্রায় একটা প্রতিযোগিতা লেগে যায়। কিন্তু ভিড়ের প্রতিযোগিতা নয়, বরং এবারের দুর্গাপুজোয় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তাই হয়ে উঠুক অগ্রাধিকার। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটিগুলিকে এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বছর কয়েক আগে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। আর তারপর থেকে বাংলায় দুর্গাপুজোর আনন্দ আরও কয়েকগুণ বেড়েছে। আয়োজনও খানিক ক্রমবর্ধমান। সেকথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বারবার সতর্কতার সুরে বললেন, ”ভিড়ের প্রতিযোগিতা করবেন না, মানুষকে মণ্ডপ দেখান। প্রতিটি মণ্ডপে যেন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ থাকে। পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম রাখতে হবে, যাতে কারও কোনও সমস্যা হলে তা ঘোষণা করা যায়। হেল্পলাইন নম্বর ভালোভাবে ঘোষণা করবেন। মণ্ডপে দমকলের বড় গাড়ি ঢুকতে অসুবিধা থাকলে মোবাইল বাইক রেডি রাখতে হবে। মহিলা নিরাপত্তায় যেন বাড়তি নজর থাকে পুলিশের।” সুষ্ঠুভাবে পুজো পরিচালনার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ভূমিকা যে অনেকটা, তা ফের মনে করালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবছর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গাপুজো শুরু। ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী। ওই তিনদিন অর্থাৎ ২,৩ ও ৪ তারিখ প্রতিমা বিসর্জনের দিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫ অক্টোবর হবে পুজো কার্নিভাল। প্রতি বছর রেড রোডে বড় করে প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। থাকেন বিদেশি অতিথিরাও। এবারও তাঁদের সকলকে নিয়ে কার্নিভাল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন