ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মেয়ো রোডে তৃণমূলের ‘ভাষা আন্দোলনে’র মঞ্চ খুলে দিয়েছে সেনা। তা নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে বিজেপি ভোটের আগে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করে বলে বারবার দাবি করেছে তৃণমূল। এদিন আক্ষেপের সুরে মমতা বললেন, “সেনাও বাদ গেল না।”
ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনি এবং রবিবার-সপ্তাহে দু’দিন করে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রিলে অবস্থান করছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। সেখানেই তৈরি করা হয়েছিল ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ। সোমবার আচমকা সেনাবাহিনীর জওয়ানরা মেয়ো রোডে পৌঁছয়। সভামঞ্চে খুলে ফেলে সেনা। ছুড়ে ফেলা হয় ত্রিপল। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সেনাকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেন মমতা। বলেন, “সেনা আমাদের বন্ধু। ওদের পোশাককে সম্মান করি। সেনাবাহিনীর দোষ নেই।” এরপরই আক্ষেপের সুরে বলেন, “সেনা বাহিনিও বাদ গেল না….! বিজেপির কথায় এই কাজ করেছে।” এজেন্সি প্রসঙ্গেও সরব হলেন মমতা। বললেন, “সব ভোটের মাস ছয়েক আগে ওরা এজেন্সিকে ব্যবহার করে। এখানে ইডি, ওখানে সিবিআই পাঠাবে। সবটাই আসলে বিজেপি পক্ষ। স্বৈরাচারী পক্ষ।” প্রশ্ন করলেন, যখন বিজেপি যখন থাকবে না তখন কী করবেন?
উল্লেখ্য, মেয়ো রোডের মঞ্চ খোলা নিয়ে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সিপিআরও গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিমাংশু তিওয়ারির দাবি, “এখানে ৩ দিনের বেশি কর্মসূচি করতে হলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতি নিতে হয়। দু’দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ওই মঞ্চ এক মাস ধরে রেখে দেওয়া হয়। আয়োজকদের কাছে মঞ্চ খোলার আবেদন জানানো হলেও খোলা হয়নি। কলকাতা পুলিশকে জানিয়েই সেনার তরফে মঞ্চ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”