সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কালীগঞ্জের উপনির্বাচনের শুরু থেকেই বুথে বুথে চলছে অশান্তি। একাধিক বুথে বিরোধী দলের এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ১৭৭ নম্বর বুথে আবার ইভিএম বিকল বলে অভিযোগ প্রাক্তন বাম বিধায়কের। সব মিলিয়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির মাঝেই কালীগঞ্জে চলছে ভোটগ্রহণ। পৌনে আটটা নাগাদ ভোট দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ ও বিজেপি প্রার্থী আশিষ ঘোষ।
তৃণমূল বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে ফাঁকা হয় কালীগঞ্জ আসন। উপনির্বাচনে এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত বিধায়কের মেয়ে আলিফা আহমেদ। বিজেপি প্রার্থী ‘আদি’ নেতা আশিস ঘোষ। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করছেন কাবিলউদ্দিন আহমেদ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ভোটের ফলাফল ছাব্বিশের বিধানসভার ভোটের আয়না হতে চলেছে। তাই তৃণমূল, বিজেপি, বাম-কংগ্রেস জোট-সহ সমস্ত দলের নেতাকর্মীরা নিজের মতো করে লড়াই করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ভোটগ্রহণের শুরু থেকে বিভিন্ন বুথ থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। একাধিক জায়গায় কংগ্রেস ও বিজেপি এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিন ভোটদানের পর এ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, “আমরা মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছি। নিজের মতো করে লড়াই করছি। ওরাও নিজেদের মতো করে লড়ুক।” এরপরই আমজনতাকে ভয় না পেয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।