‘এখানে সম্মান পাচ্ছি’, ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে যোগ দিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন জন বার্লা

‘এখানে সম্মান পাচ্ছি’, ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে যোগ দিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন জন বার্লা

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ভালো লাগছে। এখানে সম্মান পাচ্ছি।” ২১ জুলাই কলকাতার ধর্মতলার শহিদ দিবস সমাবেশে যোগ দিয়ে এই কথা বললেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া চা বাগানের নেতা জন বার্লা। মানুষের জন্য তিনি আরও কাজ করতে চান। সেই কথাও জানান তিনি। পাশাপাশি বিজেপির দিকেও কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন। জাতপাত, ধর্ম নিয়ে আন্দোলন করে কোনও লাভ হবে না। সেকথাও দাবি করেছেন। বিজেপির প্রতি ব্যক্তিগত রাগ আছে বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়ও। 

২১ জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশে যোগ দিতে লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এদিন কলকাতায় সমবেত হয়েছিলেন। বিভিন্ন জেলা থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরাও। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে বার্তা দিয়েছেন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে এদিনের শহিদ সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহল। বাংলার অস্মিতা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন নেত্রী। ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাঙালিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে। বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এমন চলতে থাকলে ফের ভাষার জন্য আন্দোলন হবে বলে জোরালো বার্তা দিয়েছেন নেত্রী।

এদিন সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের নেতা জন বার্লা। একদা গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে থাকলেও সেই সম্পর্ক এখন অতীত। চা বাগানের এই নেতা এখন তৃণমূল কংগ্রেসে। এদিন জন বার্লা বলেন, “ভালো লাগছে। এখানে সম্মান পাচ্ছি। যে জায়গায় সম্মান আছে, সেখানে থাকব ও মানুষের জন্য কাজ করব।” শুধু তাই নয়, বিজেপিকেও এদিন একহাত নিয়েছেন তিনি। বিজেপি বাংলায় হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি করছে। ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চলছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছে। গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে জন বার্লা বলেন, “জাতপাত, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করলে কোনও লাভ হবে না।” শুধু তাই নয়, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করবে। সেই কথাও তিনি জানিয়েছেন।

তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় এদিন বলেন, “বিজেপির প্রতি ব্যক্তিগত রাগ আছে। ১১ বছর হয়ে গেল কোনও বাঙালিকে ভালো কাজ করার পরেও ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হয়নি। সেই রাগ থেকেই বিজেপি ছেড়েছিলাম।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপির বাঙালি বিরোধিতা আজও আছে। সেজন্য বিভিন্ন বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়েই এনআরসি চালু করার একটা চক্রান্ত  চলছে বলে তিনি মনে করেন। প্রতিটি ২১ জুলাই একটি শিক্ষনীয় অভিজ্ঞতা বলে জানিয়েছেন বাবুল।

 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *