এক দশক পর রক্তাক্ত সবুজ গালিচা! ম্যানেজার ‘খুনে’ উত্তরের চা বলয়ে আতঙ্ক, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

এক দশক পর রক্তাক্ত সবুজ গালিচা! ম্যানেজার ‘খুনে’ উত্তরের চা বলয়ে আতঙ্ক, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

রাজ্য/STATE
Spread the love


বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: ফের রক্তাক্ত সবুজ গালিচা। উত্তরের চা বলয়ে ভরদুপুরে ম্যানেজার খুন! সেটাও এক দশক পর। বৃহস্পতিবার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর এলাকার জয়ন্তিকা চা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার নৃশংসভাবে খুনের ঘটনা খবর মিলতে স্বভাবতই স্তম্ভিত চা বণিকসভা থেকে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাবে উৎপাদন মার খেয়ে লোকসানের জেরে খাদের কিনারে চলে যাওয়া উত্তরের চা শিল্প যখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে সচেষ্ট, তখন কেন এমন অকল্পনীয় ঘটনা!

অকল্পনীয়ই বটে। কারণ, সাধারণত শ্রমিক-মালিক টানাপোড়েনের জেরে দু’দশক আগে চা বাগান কর্তৃপক্ষের উপরে আকছার হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। সেটা জয়ন্তিকা চা বাগানে ছিল না। শুধু তাই নয়। সেখানকার শ্রমিকরাও পুলিশকে জানিয়েছেন খুন হয়ে যাওয়া সিনিয়র ম্যানেজার ভালো মানুষ ছিলেন। তবে কেন নৃশংস হামলা? সেই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে হন্যে এখন পুলিশ। উত্তরের চা বলয়ে ওই ধরনের ধ্বংসাত্মক প্রবণতা ক্রমশ কমছিল। হয়তো তাই দার্জিলিং জেলা সিপিএম সম্পাদক সমন পাঠক মনে করতে পারলেন না বৃহস্পতিবার জয়ন্তিকা চা বাগানের মতো নৃশংস হত্যাকাণ্ড শেষ কবে উত্তরের চা বাগানে হয়েছে। তিনি বলেন, “চা শিল্পের পক্ষে এটা মারাত্মক ক্ষতিকারক। খুবই খারাপ বার্তা।” একই মত নর্থবেঙ্গল টি প্রডিউসার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি সতীশ মিত্রুকার। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “এদিনের ঘটনার পর চা বাগান কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন। উৎপাদন ব্যাহত হবে।”

চা শ্রমিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, নয় বছর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চা বাগানের ম্যানেজার খুন হয়েছিলেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ভাণ্ডিরবাড়িতে। রাতে চা বাগানে ঢুকে ম্যানেজারকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা৷ এর আগে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে এক মহিলা শ্রমিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ডুয়ার্সের বীরপাড়া থানা এলাকার দলমোড় চা বাগানে চা বাগানের সহকারী ম্যানেজারকে খুকুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। পরের বছর ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ডুয়ার্সের বানারহাটের মোঘলকাটা চা বাগানের সহকারী ম্যানেজারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ময়নাগুড়ির যাদবপুর চা বাগানের এক কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। তবে সব ঘটনাকে ছাপিয়ে এখনও জীবন্ত ২০০৩ সালের ৬ নভেম্বর অধুনা আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ার দলগাঁও চা বাগানে সিটু নেতা তারকেশ্বর লোহার সহ ১৯ জনকে বাড়ির মধ্যে ঘিরে পিটিয়ে, কুপিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *