সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের ৫ আগস্ট ‘গণ অভ্য়ুত্থানে’ গদিচ্য়ুত হন শেখ হাসিনা। প্রাণ বাঁচাতে কার্যত বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন। এই ঘটনায় একাধিক রিপোর্টে পাকিস্তানের কলকাঠি নাড়ার খবর উঠে এসেছিল। এবার পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) দাবি করল, হাসিনাকে উৎখাত করতে তাদেরও হাত ছিল। এই নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মাথা ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ। এইভাবেই নাকি একাত্তরের মুক্তযুদ্ধের বদলা নিয়েছে তারা।
গত বছরে জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে বাংলাদেশ। আন্দোলনে পথে নামে ছাত্ররা। প্রাণ ঝরে অন্তত ৬০০ জনের। এই ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই ছক কষা হয়েছিল হাসিনাকে গদিচ্যুত করার। অনেক রিপোর্টেই দাবি করা হয়, পাকপন্থী জামাত উসকানি দিয়েছে আন্দোলনে। যার ফলে এই প্রতিবাদ আরও রক্তাক্ত আকার নিয়েছিল। দিন দুয়েক আগে জেইউডি-এর দুই নেতা সাইফুল্লাহ কাসুরি ও মুজাম্মিল হাশমি দাবি করে ‘হাসিনা হঠাও অভিযানে’ যুক্ত থাকার। এই দুই জেহাদিই রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত।
জানা গিয়েছে, লাহোর থেকে প্রায় ৪০০ কিমি দূরে রহিম ইয়ার খান শহরে সমর্থকদের উদ্দেশে কাসুরি বলতে শোনা যায়, “১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তান ভেঙে ফেলা হয়, তখন আমার চার বছর বয়স ছিল। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি দ্বিজাতি তত্ত্বকে বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দিয়েছেন। ১০ মে, আমরা ১৯৭১ সালের প্রতিশোধ নিয়েছি।” ভারতের অপারেশন সিঁদুরের কথা উল্লেখ করে সে বলে, “লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার মুদাস্সার ৭ মে ভারতের হামলায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। মুরিদকেতে জেইউডিয়ের সদর দপ্তরে ওরা হামলা চালিয়েছিল। যখন পহেলগাঁয়ের ঘটনা ঘটে, তখন আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। ভারত আমাকে এই হামলার মূলচক্রী হিসাবে ঘোষণা করেছিল। ভারত আমার শহর কাসুরকে বিশ্বে জনপ্রিয় করে তুলেছে।”
এদিকে, ভারতকে নিশানা করে মুজাম্মিলকে বলতে শোনা যায়, “আমরা বাংলাদেশে তোমাদের হারিয়ে দিয়েছি। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা মরতে ভয় পাইনা। জেহাদের জন্য় নতুন প্রজন্ম তৈরি করছি।” ফলে হাসিনার প্রসঙ্গ তুলে দিল্লিকে বার্তা দিল এই জেহাদিরা। আর এভাবে তাদের প্রকাশ্য়ে হুঙ্কার দেওয়ায় ফের প্রমাণ হয়ে গেল জঙ্গিদের চারণক্ষেত্র পাকিস্তান।