উলটপুরাণ! কয়েকঘণ্টায় তুলসী মালা ‘ফতোয়া’ প্রত্যাহার করে শিক্ষিকা বললেন, ‘আমি কৃষ্ণভক্ত’

উলটপুরাণ! কয়েকঘণ্টায় তুলসী মালা ‘ফতোয়া’ প্রত্যাহার করে শিক্ষিকা বললেন, ‘আমি কৃষ্ণভক্ত’

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


অর্ণব দাস, বারাসত: বিতর্কের চাপে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই উলটপুরাণ! স্কুলে তুলসী মালা পরা নিয়ে নিজের জারি করা ‘ফতোয়া’ তুলে নিলেন বারাসতের নবপল্লী যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী দত্ত চক্রবর্তী। শনিবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি নিজেও কৃষ্ণভক্ত, প্রচুর তুলসী গাছ লাগিয়েছেন স্কুল চত্বরে। সাবধানতার কারণেই তিনি ছাত্রীদের স্কুলের পোশাকের সঙ্গে তুলসী মালা না পরার কথা বলেছিলেন। যদিও ‘হেড দিদিমণি’র এই সাংবাদিক বৈঠক বিতর্কে কতটা জল ঢালল, তা দেখার বিষয়।

বারাসত নবপল্লী যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রানী দত্ত চক্রবর্তী। শুক্রবার দেখা যায়, স্কুলগেটের বাইরে ছাত্রীদের প্রবেশের সময় রীতিমতো দাঁড়িয়ে থেকে তিনি ছাত্রীরা কেউ তুলসী কাঠের মালা পরে এসেছে কিনা, তা পরীক্ষা করেন। তার আগেই অবশ্য স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর অডিও বার্তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তুলসী মালার পরে স্কুলে যাওয়ার উপর তাঁর ‘নিষেধাজ্ঞা’ মোটেই পছন্দ হয়নি অভিভাবকদের একটা বড় অংশের। এনিয়ে শুক্রবারও প্রধান শিক্ষিকা নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তবে তা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে শনিবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক ডাকলেন।

সাংবাদিক বৈঠকে প্রধান শিক্ষিকার ব্যাখ্যা, “আমি যে ভাবনা থেকে স্কুলের পোশাকের সঙ্গে তুলসী মালা পরে না আসার কথাটা বলেছিলাম, তার অপব্যাখ্যা মনে হয় হচ্ছে। আমি নিজেও ঠাকুরভক্ত। কেউ তুলসী মালা পরে আসবে না, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমি জারি করতে পারি না, তা করিওনি। কিন্তু তুলসীর অপমান যাতে না হয় তা ভেবেই বাচ্চাদের আমি স্কুল ইউনিফর্মে পরতে বারণ করেছিলাম। আমি আবারও বলছি, আমি নিজে কৃষ্ণভক্ত, জগন্নাথের সেবাইত। প্রচুর তুলসী গাছ লাগিয়েছি স্কুল চত্বরে। কিন্তু সেই তুলসী মাটিতে পড়ে কারও পায়ের নিচে না চলে যায়, তার জন্য আমি ওকথা বলেছিলাম। যদি আমার কোনও কথায় আমার ছাত্রী বা কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তার জন্য আমি দুঃখিত।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *