সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে আকস্মিকভাবেই উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনকড়ের ইস্তফার নেপথ্য কারণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ‘স্বাস্থ্যের অবনতি’ নাকি ‘অন্য কিছু’ তা নিয়ে এখনই তৃণমূল কংগ্রেস কোনও মন্তব্য না করলেও গোটা বিষয়টিতে তীক্ষ্ম নজর রাখছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার নবান্নে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি এখনই এই বিষয়ে কিছু বলব না। আমাদের সংসদীয় দল আছে, ওরা বলবে। তবে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের স্বাস্থ্য ঠিকই আছে বলে আমার মনে হয়। বাকি বিষয় নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’
তৃণমূলনেত্রীর কথার প্রতিধ্বনি এদিন শোনা গিয়েছে দিল্লি ও কলকাতায় তৃণমূল নেতাদের মুখেও। দিল্লিতে সংসদ চত্বরে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি অসুস্থ হয়ে থাকলে দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’’ তবে ‘স্বাস্থ্যের কারণেই ধনকড়ের ইস্তফা’ তত্ত্বেও যে তিনি সহমত নন, তাও কার্যত ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কলকাতায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও বলেন, ‘‘ধনকড়ের ইস্তফা নজিরবিহীন। যদি অসুস্থ থাকেন, তবে দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। তাহলে নিশ্চয়ই তিনি মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভর্তি হবেন, পরবর্তী কয়েকদিন নানা চিকিৎসা করাবেন বলে আমার বিশ্বাস।’’
কংগ্রেস অবশ্য সরাসরিই এ নিয়ে বিজেপিকে বিঁধছে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলছেন, “ধনকড় বিজেপির বেঁধে দেওয়া সীমা লঙ্ঘন করেছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর উপর আস্থা রাখতে পারছিল না। তাই ধনকড়কে যেতেই হত।” চিদম্বরমের কথায়, দরকার পড়লে মোদি সরকার যে কাউকে বন্ধু বানিয়ে ফেলতে পারে। দরকার ফুরোলে আবার ছুড়ে ফেলে দেয়।